নিজস্ব প্রতিবেদক
এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কলেজগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাঁশখালীর মাস্টার নজির আহমদ ডিগ্রী কলেজ। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির ৩১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ২৯৬ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন। শিক্ষার্থী অনুপাতে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এমন ফলাফলে খুশি প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রকাশিত ফলাফলে এসব তথ্য জানা যায়।
ফলাফলে দেখা যায়, মাস্টার নজির আহমদ ডিগ্রী কলেজ ৯৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কলেজগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে জায়গা করে নেয়। কলেজটির ৩১৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২৯৬ জন শিক্ষার্থী। একইসাথে এ কলেজের ১৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৫৯ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ জন শিক্ষার্থী। মানবিক বিভাগ থেকে ১৭৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৫৮ শিক্ষার্থী পাস করেছেন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন একজন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে কলেজটির ৮২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭৯ জন পাস করেছেন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রচেষ্টা এবং পরিচালনা কমিটি ও প্রতিষ্ঠাতাদের আন্তরিকতায় কলেজ ভালো ফলাফল করেছে বলে জানিয়েছেন মাস্টার নজির আহমদ কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।
তিনি পূর্বদেশকে বলেন, আমাদের কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সব সময় আন্তরিকতার সাথে পাঠদান ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ফলে কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছর আমাদের কলেজ দক্ষিণ চট্টগ্রামের কলেজগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যান্য কলেজগুলোর মধ্যে পটিয়া সরকারি কলেজের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সাতকানিয়া সরকারি কলেজে পাসের ৭৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ, গাছবাড়িয়া কলেজে ৮২ দশমিক ২৬ শতাংশ, সরকারি আলাওল ডিগ্রী কলেজে ৫৭ দশমিক ৮১ শতাংশ, বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজে ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ, পশ্চিম বাঁশখালী উপক‚লীয় ডিগ্রী কলেজে পাসের ৬৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ, হাজিগাঁও বুরুমছড়া স্কুল এন্ড কলেজে পাসের হার ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ ও পশ্চিম বাঁশখালী স্কুল এন্ড কলেজে ৫৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।