পূর্বদেশ ডেস্ক
নগরে এক কভার্ড ভ্যান চালককে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যে মিলেছে কোতোয়ালী থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল ও গুলি। সোমবার পতেঙ্গা আকমল আলী ঘাট থেকে পেশায় কভার্ড ভ্যান চালক মো. রুবেল ওরফে রনি (২৮)কে পুলিশ প্রথমে গ্রেপ্তার করে; তার বাড়ি মিরসরাই উপজেলায়।
জিজ্ঞাসাবাদে রনির দেওয়া তথ্যে নগরীর কোতোয়ালী থানার ইয়াকুব নগর লইট্টা ঘাটা এলাকা থেকে ওই রাতেই পলিথিন মোড়ানো অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগের রাতে তাদের কাছে খবর আসে যে সরকার পতনের সময় লুট করা অস্ত্র রুবেলের কাছে আছে। সে তথ্যের ভিত্তিতে রুবেলকে আটক করা হয়।
পরে রুবেলের দেওয়া তথ্যে লইট্টা ঘাটা এলাকা থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় ব্রাজিলের তৈরি নাইম এমএম তরাস পিস্তল,দুইটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
অস্ত্রটি উদ্ধারের পর নম্বর দেখে সেটি কোতোয়ালী থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীর।
উপ কমিশনার আলমগীর বলেছেন গত বছরের ৫ আগস্টে সরকার পতনের দিন থানায় লুটপাটের সাথে জড়িত ছিলেন অনেকে, তাদের একজন রনি। ওইদিন নগরীর কোতোয়ালী, পাহাড়তলী, পতেঙ্গা, ইপিজেডসহ বেশ কয়েকটি থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।
পরে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৫ আগস্টে থানা থেকে লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের অগ্নেয়াস্ত্রের সন্ধান পাওয়ার কথা সামনে এসেছে।
গত ৫ মে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর-দক্ষিণ বিভাগের একটি দল বাকলিয়া থানার মেরিন ড্রাইভের উত্তর পাশে সিরাজ জমিদারের বাড়ি সংলগ্ন ময়লার স্ত‚প থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্রাজিলের তৈরি দুইটি তরাস ৯ এমএম পিস্তল, ইংল্যান্ডের তৈরি একটি রিভলবার ও ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
উদ্ধার করা দুইটি পিস্তল ও গুলি গত ৫ আগস্ট নগরীর কোতোয়ালী থানার অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ছিল বলে পরদিন নগর পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এর আগে গত ৩ মার্চ রাতে সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নে ‘গণপিটুনিতে’ দুই জামায়াত কর্মী নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল।
তখন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেছিলেন, উদ্ধার করা অস্ত্রটি সিএমপি কোতোয়ালী থানা পুলিশের। যেটি থানা থেকে লুট হয়েছিল।
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র কেনাবেচার অভিযোগে ২১ মার্চ এক পুলিশ সদস্যসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া রিয়াদ নামে ওই পুলিশ সদস্য চাঁদপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।