পূর্বদেশ ডেস্ক
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ও ২য় মেধাতালিকা প্রকাশের পর অনেক শিক্ষার্থীর মুখে হাসি ফুটলেও একাংশ ভুগছে হতাশায়। কেননা প্রতিবছরের মত এবারও নগরের খ্যাতিমান সরকারি কলেজগুলোতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তরাই ঠাঁই করে নিয়েছে।
বিশেষ করে সরকারি কলেজের বিজ্ঞান শাখায় প্রকাশিত এই ফলাফলে হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া প্রায় ৪০৭ জন বিজ্ঞান শিক্ষার্থী কোনো কলেজের তালিকাতেই আসেনি। মেধাতালিকায় অনেকে মনোনীত হয়েছে এমন সব কলেজে যেখানে শিক্ষার পরিবেশ মানসম্পন্ন নয় বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
কাঙ্খিত কলেজে সুযোগ না পেয়ে হতাশায় থাকা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে নগরের ডিজিটাল কলেজখ্যাত শিক্ষাবোর্ড অনুমোদিত কলেজ অব সায়েন্স বিজনেস অ্যান্ড হিউমেনিটিজ (সিএসবিএইচ)। গত শনিবার কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা একাদশে ভর্তি বিষয়ক নানা সমস্যা সমাধানে আলোচনা করেন।
শিক্ষার্থীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিএসবিএইচ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মেহরাব মাসুক বলেন, প্রথম ও ২য় আবেদনে কলেজ পছন্দক্রম নির্বাচনে এসএসসিতে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনায় না রাখা, কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ও মান এবং বাসা থেকে দূরত্ব ইত্যাদি বিবেচনায় না আনার কারণে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই ৩য় আবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু এটি আবেদনের শেষ সুযোগ, তাই বুঝে-শুনে পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অন্যথায় আবারও ফল বিপর্যয় ঘটতে পারে। খবর বাংলানিউজের
তিনি আরও বলেন, সরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ না পেলেও উন্নত শিক্ষার পরিবেশ, নিয়মিত ক্লাস গ্রহণ, মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লাসনির্ভর পাঠদান, মেধাবী শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র-ছাত্রীদের নিবিড় পরিচর্যা, দ্রুত সিলেবাস সমাপণ ও বোর্ড অনুরূপ পরীক্ষা গ্রহণ ইত্যাদি ব্যতিক্রমী পাঠপদ্ধতি সম্পন্ন প্রাইভেট কলেজ চট্টগ্রামে রয়েছে। তাই মেধাতালিকায় আসা কলেজ যাদের পছন্দ হয়নি এবং যারা এতে নিশ্চায়ন করেনি, তারা ৯ ও ১০ জুলাই ৩য় আবেদন করার সময় পছন্দক্রমে যে কলেজের নাম প্রথম দিকে রাখবে, সে কলেজেই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে।