মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতা রফিক উদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আরো ২০-৩০ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী লায়লা বেগম। মামলার এজাহারনামীয় আসামি নজরুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় উপজেলার ইছখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা, মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন ও শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরীসহ অন্যান্য আসামিরা হলেন নবীর হোসেন নবী প্রকাশ ট্রাক্টর নবী, হাবিব, মো. আনোয়ার, বাদশা, আনোয়ার, আরিফ মাঈন উদ্দিন, হানিফ, হেলাল উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মোশাররফ, লোকমান, সবুজ, মো. শাহাদাৎ, ফরিদ হোসেন, রাশেদুল আলম, কামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ রিপন, করিম শাহ, আবদুল মান্নান, মুসলিম উদ্দিন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ২০-৩০ জনকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবৈধ বালু উত্তোলন, জমি দখল, শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সক্রিয় ছিল। আমার স্বামী (রফিক উদ্দিন) আসামিদের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার ও প্রতিবাদী ছিলেন। ফলে তাদের টার্গেটে পরিণত হয় এবং বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি প্রদান করছিল। গত ৩১ আগস্ট রাত ৮টায় সাহেরখালী ইউনিয়নের স্লুইচগেট এলাকায় কিছু দুষ্কৃতকারী মাছের প্রজেক্ট দখল করতে আসার খবর পেয়ে আমার স্বামী তার সাথে আরো ১২ জন নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে ১ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় দেড়টায় মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে এসকিউ ইলেক্ট্রিক্যাল লিমিটেড নামের কারখানার সামনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিগণ তাদের গতিরোধ করে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে তাদের বহনকারী সিএনজি-অটোরিকশা জ্বালিয়ে দেয়। তার হাত-পা ও চোখ বেঁধে এলোপাতারী পিটিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, রফিক উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী লায়লা বেগম বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০-৩০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারনামীয় আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।