মিঞা জামশেদ উদ্দীন
৩ এপ্রিল হয়ে গেল ‘আমরা ৮৪য়ান’ এর এসএসসি ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে একাধিক ইভেন্টের মধ্যে স্মৃতি চারণও রাখা হয়। বিশেষ করে স্কুল জীবনের ঘটনা বহুল অবতারণা করা। যা কিনা নষ্টালজিয়াও বলা যেতে পারে; অনুষ্ঠানে বন্ধুবর জহুরুল আলম জহুরও স্মৃতিচারণ করে। তবে বন্ধুবর জহুরুল আলমের একাধিক বিশেষণ রয়েছে। একাধারে একজন রাজনীতিবিদও। অনুষ্ঠানে তাঁকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স করতে দেখাযায়। আবৃত্তিসহ গানও করেন। বলতে গেলে, সমাবেত শতাধিক বন্ধুদের মধ্যে তিনিই একমাত্র সব-কয়টি ইভেন্টে অংশ নেয় এবং তাঁর পারফরম্যান্সও লক্ষণীয় ছিল। অনেকটা পুরো অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখেন। তারপরও আয়োজকেরা কেন জানি অসন্তুষ্ট ; হ্যাঁ, আচার-আচরণে একধরনের কৃপণতা দেখিয়েছে! যা কিনা এক বাক্যে বলাযায়, সংক্ষীর্ণতায় ভোগে তারা না হয় একজন সেরা পারফরম্যান্স হিসেবে তাকে কেন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হলো না; বলতে পারি, তৎক্ষণাৎ প্রস্তুতি ছিল না! তাতেও প্রশ্ন থেকে যায়Ñ আর এ জন্য আহামরি প্রস্তুতি লাগার কথা নয়Ñ একটি গোলাপ বা একটি রজনীগন্ধার ইস্টিক দিয়ে-এ সম্মাননা করা যেত! যাক, যা হবার হয়ে গেছে। এখন আমার স্মৃতিচারণ করার পালা। তবে ছাত্র জীবনে বহু ঘটনা রয়েছে, এখন এসব ভুলতে বসেছি। তবে তার মধ্যে দু-একটা ঘটনা না বললে নয়; বিশেষ করে নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন-সময় থেকে প্রত্যক্ষভাবে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি। রীতিমতো ঢাকা-চট্টগ্রামে যাওয়া-আসা করা, অর্থাৎ রাজধানী ঢাকা গিয়েও রাজনীতির কর্মসূচিতে অংশ নেয়া! আর এজন্য একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে গিয়ে থাকা হয়।
সর্বশেষ একবার সূর্যসেন হলে উঠতে গিয়ে মহাবিপদে পড়তে হয়। জানতে পারলাম, রাতে নাকি সূর্যসেন হলে এক ছাত্র খুন হয়। অবশ্য আমরা তা জানতাম না। এ অবস্থায়ও সকালে ছাত্রবাসে ওঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে দীব্যি কেন্টিনে নাস্তা-পানি করছিলাম, ডিম-মামলেট ও পরটা দিয়ে। অবশ্য সঙ্গিরা কেউ কেউ ডাল-বাজি দিয়ে খেলো। ঠিক ওইসময় পরিচিত এক বড়ভাই এসে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন আমরা কবে এসেছি। আমরাও বললাম, সকালে এসেছি। তিনি এবার একপাশে নিয়ে কানে কানে ছাত্র খুন হওয়ার ঘটনাটি বললেন। আমরা তাঁর মুখে ঘটনাটি শুনে হতভম্ব পড়ি এবং চিন্তা করতে লাগলাম, এখন কোথায় যাওয়া যায়; ছাত্র বাসটিতে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এরমধ্যে রাতে পুলিশ অনেক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। তারপরও শঙ্কা থেকে যায়, আবারও যেকোনো মুহূর্তে পুলিশ অভিযান চালাতে পারে; সবার মুখে মুখে এসব কথা শুনে বুক থরথর করে কাঁপতে থাকে এবং মনে মনে ভাবতে লাগলাম, তাহলে উপায় কি হবে; হ্যাঁ, উপায় একটা না একটাতো বের করতেই হবে; সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিলাম, জগৎনাথ হলে ওঠার। তবে জগৎনাথ হলে পরিচিত কেউ ছিলো না। তারপরও জগৎনাথ হলে গিয়ে উঠলাম। এরপর
স্মৃতিচারণে অপর ঘটনাটিও আওড়াতে থাকি। সেটি জেনারেল এরশাদ সরকারের আমলের ঘটনা। ১৯৮৫ সালে ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন বাবলু শিক্ষা উপমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ২-১ বছর মধ্যে একবার সীতাকুÐ ডিগ্রি কলেজ পরিদর্শনে আসেন। তখন আমি ওই কলেজে ছাত্র এবং একটি বাম-প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের জবরদস্ত ছাত্র নেতা। তখন দেশব্যাপী স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তুঙ্গে। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, শিক্ষা উপমন্ত্রী জিয়াউদ্দিন বাবলুকে কলেজে অনুষ্ঠান করতে দেব না। একপর্যায়ে আমি ¯েøাগান ধরি। আমার বন্ধু নাছিরও আমার সাথে ¯েøাগান ধরে। আমরা মাত্র দু- ছাত্র এবং দু-ছাত্রনেতা কলেজ ক্যাম্পাসে ¯েøাগানে ¯েøাগানে প্রকম্পিত করে তুলি। অবশ্য নাছির জাতীয়তাবাদি ছাত্র দল করতো, আমি করতাম ছাত্র ফ্রন্ট। তবে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জাতীয়তাবাদি ছাত্র দলসহ সমমনা ছাত্র সংগঠন নিয়ে ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও ছাত্র ফ্রন্টসহ সমমনা প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন নিয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলো। স্বৈরাচার পতন না হওয়া পর্যন্ত সমমনাসহ ছাত্র সংগঠনগুলো যুগপৎ আন্দোলনে মাঠে শক্ত অবস্থা নেয়। সর্বশেষ সীতাকুÐ থানা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আহ্বায়ক থাকাকালীন এরশাদ সরকারের শেষ যবনিকা টানা হয়। স্মৃতি চারণের তৃতীয় ঘটনাটি বলতে গিয়ে স্কুলের হুজুর-স্যারের কথা মনে পড়ে গেল। মাওলানা মো. মোফাজ্জল হোসেন ছিলেন আমাদের হুজুর স্যার। ওনার গ্রামের বাড়ি ছিল আমাদের একই গ্রাম। সেইহেতু জানাশোনা আগে থেকে ছিল। তিনি ক্লাসে গেলেই সর্বপ্রথম আমার খবর নিতেন। বলতেন, আমাদের দুষ্টটা কোথায় গেল; তাছাড়া তিনি আমাদের মসজিদে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের ইমামতিও করতেন। নিয়মিত আযানের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেন, যেন মুসল্লীরা শান্ত হয়ে চার রাকাত সুন্নত-নামাজ পড়তে পারেন। অতঃপর খোদবা পড়ার মিনিট পাঁচেক আগে খোববার ওপর বয়ান করতেন বাংলায়। অত্যন্ত দরদী কণ্ঠে তিনি সুরা তেলওয়াত করতেন। আমরা সবাই কানপেতে শুনতাম। তরজুমায় অতি কথন বা জাগতিক কোনো বিষয়ে বলতেন না। পারতপক্ষে তিনি কোনো বিতর্কের মধ্যে জড়াতেন না। এছাড়া মরুর তপ্তবালু আর খেজুরের কিচ্ছা-কাহিলও বলতে পছন্দ করতেন না; তিনি বুঝতেন এসব বিষয় ছিল অপ্রাসঙ্গিক এবং আধুনিক যুগের সাথে যায় না, অথবা মেঘে-মেঘে দুলদুল ঘোড়া উড়াউড়ির দৃশ্য বা আবাবিল পাখি এসে শত্রুর ওপর পাথর ছুড়ার ক্ষণকালের অপেক্ষার প্রহরও গুনা, এবং এসবে আপেক্ষিকতা। তাঁর মুখে এসব বয়ান কখনো শুনিনি।
তিনি বেত্রহস্তে ক্লাসে এসে সর্বপ্রথম টেবিলের ওপর জোরে একটি কষাঘাত চালাতেন। সঙ্গে আমরা-ছাত্ররাও একসাথে হেসে উঠতাম। এবার তিনি মাথার ওপর বেত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পুরো ক্লাসের উপস্থিতি দেখতেন এবং পড়া শুরু করার আগে পুনরায় টেবিলের ওপর আবারও ধ্রাম করে আরেকটি কষাঘাত করা। তখন আমরা-সবাই চুপচাপ হয়ে ক্লাসে হুজুরের পড়ায় মনোনিবেশ হতাম। হুজুরকে নিয়ে আমরা আরেকটি ঘটনা ছিল। তিনি অন্যান্যদিনের মতো যথানিয়মে ক্লাসে হাঁট ছিলেন। এরমধ্যে পেছনে থেকে একটি আলদি পয়সা ফ্লোরে ছুড়ে দেওয়া হয়। ওপর থেকে আদলি পয়সা পড়ায় ঝনঝনিয়ে শব্দ করে ওঠে এবং হুজুর-স্যারও থমকে দাঁড়ান। আমরাও সমবেত কণ্ঠে বললাম, হুজুর আপনার পয়সা পড়ে গেছে পকেট থেকে। হুজুরও আহ্-শব্দ করে হাত বাড়িয়ে পয়সাটি ওঠিয়ে পকেটে নিলেন এবং বিড়বিড় করে কি-সব বলতে লাগলেন। পকেটে তো পয়সা ছিল না, কোত্থেকে এটা পড়লো; তিনি আবারও ক্লাসরুমে চক্কর দিয়ে ওইপথ অতিক্রম করতেই ঝনঝনিয়ে আদলি পয়সা পড়ার শব্দ শোনতে পেলেন। এবার কিন্তু আরো কয়েক ব্যাঞ্চ সামনে, দ্বিতীয় আরেকটি আদলি-পয়সা ফ্লোরে পড়ে। এবার কিন্তু হুজুর-স্যার বুঝতে পারলেন, ছাত্রদের কেউ একজন দুষ্টামি না করতেছে! হুজুরও ক্ষেপে গিয়ে ইয়া-একচেটিয়া পিটাতে থাকে ছাত্রদের। অথচ দুষ্টরাও সমানে ওঁ-পেতে থেকে বলতে থাকে, হি-ইয়ে হুজুর, হি-ইয়ে হুজুর। হুজুরও সমানে পিটালেন নাগালে যাকে পেয়েছে।
চলতি মাস ইংরেজির এপ্রিল মাস, এ মাস নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে অনেক বিয়োগান্ত আছে। ‘এপ্রিল ফুল’ ছিল মুসলিম জাতির জন্য বিশ্বঘাতকতার জন্য এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। এরপরও দীর্ঘ ইতিহাস আছে। তবে আজকে সেসব বিষয়ে অবতারণা করবো না; এরপরও বিষাদগ্রস্ত হয়ে বলতে হয়, প্রতারণা ও ফাঁদ থেমে নেই।সবই সমানে চলছে এবং যুগযুগ ধরে তা চলবেই। এ ক্ষেত্রে অজ্ঞতা, ক‚পমÐুতা ও ভ্রান্ত ধারণাই অনেকাংশে দায়। যখন মুসলিমরা পতিত হয় তখনই হাউমাউ-চিৎকার করে বলে, বাঁচাও বাঁচাও! অতঃপর আশপাশে কাউকে আর সাড়া দিতে দেখা যায় না। তাহলে অবস্থা কি দাঁড়ায়, আজকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের করুণ এ পরিণতি এবং গাজা উপত্যকা এখন মরুর-শ্মশান ভ‚মি। এ অবস্থায়ও দেড় লক্ষ গাজাবাসীকে মাতৃভূমি ছাড়তে হয়েছে। এরমধ্যে দফায় দফায় ইসরাইলি বর্বরতায় নারী-শিশুসহ প্রাণহীন লক্ষ ছুঁই ছুঁই। সম্পদহানীর পরিসংখ্যান নেই, বিশ্ববাসির কাছে। মানবাধিকার, রেডক্রস- ব্যবস্থা, ধর্মীয়স্থাপনা- মসজিদ, হাসপাতাল, চিকিৎসক, আশ্রায়ন কেন্দ্র ও সাংবাদিকসহ কোনো কিছুই অক্ষত ও নিরাপদ ছিল না। নির্বিচারে তান্ডবে বালির সাথে মিশে দিয়েছে নেতানিয়াহুর ইহুদি- ইসরাইলি বাহিনী। এরমধ্যে সাংবাদিক আহমেদ মনছুর, হেলনি আল ফারাবী, ইউসুফ আল খাজানদারসহ তিন শতাধিক সাংবাদিক প্রাণ হারান।
এরমধ্যে হামাস ও হুতিদের নাটকীয় ঘটনার টুকাটুকি দেখে ভাবছিলাম, নেতানিয়াহুর-বাহিনী আবারও বড়ধরনের চক কষেছে। আবারও তান্ডব চালাবে। তারা ইরানকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে নামে মার্কিনদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। আবার বাহারান, সৌদি আরব ও কুয়েতকে দিয়ে বলায়, মার্কিন রণতরী, ক্ষেপণাস্ত্রসহ যেকোনো হামলা করতে তাদের দেশ, আকাশ ও জলসীমা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। এ নিয়ে মার্কিনদের সাথে দ্রæত বৈঠকও দেখায়। এদিকে ইরান হুংকার দিয়ে নিজেদের জারিজুরি দেখাতে থাকে; সর্বশেষ তারাও রাশিয়ার থেকে আরো ফাইটার-যুদ্ধবিমান কিনে শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে। বরাবরই ইসরাইল বন্দি বিনিময়ের নাটকও সাজায়। তারা তাও প্রদর্শন করে। তারা অক্ষত এবং সদ্য ছাড় পাওয়া নাতুশনতোশ এক সুন্দরি ইহুদি যুবতীকে প্রদর্শন করে। মেয়েটি ছাড় পাওয়া-আবেগাপ্লুত দৃশ্য ক্যামরায় ভেসে ওঠে। তাতে আবারও বিশ্ববাসীদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে হামস বাহিনীর মাথায় আরবি হরফে লেখা সম্বলিত পট্টি বেঁধে এবং হাতে বন্দুক উঁচিয়ে ধরে গাড়ি বহরে সমানে জয়ধ্বনি দিচ্ছিলেন। অপরদিকে একইসময়ে ভারতের পার্লামেন্টেও ওয়াফকা সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি বির্তকিত বিল পাশ হয়। যার ফলে ৪০ কোটি মুসলিম যেন ফিলিস্তিনীদের বিষয়ে, কোনোপ্রকার নাগ না গলাতে পারে। ভারতীয় মুসলিমরা এ নিয়ে যেন ব্যস্ত থাকে। আর আফগানের তালেবানরা ব্যস্ত রয়েছে পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে। পাকিস্তানও ভারত ও আফগানিস্তানের তালেবানদের নিয়ে মহাব্যস্ত আছে। তারা তাদের ঘর ও অর্থনৈতিক সমস্যা সমধানে হিমসিম খাচ্ছে। পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে দেশটি হয়তো কিছু-একটা করতে পারতো। অন্তত তাদের হুংকারে নেতানিয়াহুর-বাহিনী নিরীহ ফিলিস্তিনিদের এভাবে বাস্তুচ্যুত করার দৃষ্টতা দেখাতে, দ্বিতীয়বার ভাবনা- চিন্তা করতে হতো। তারা তা-ও করতে পারেনি, আভ্যন্তরিন হানাহানির কারণে। আমাদের দেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলাওভাবে প্রচার হতে থাকে, দেড় লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিতে প্রস্তুত হয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
আপাতত প্রায় ১৭ কোটি বাঙালি মুসলিমকে দাপিয়ে রাখা হয় এ শান্তনার বাণী প্রচার করে। ইতিমধ্যে মিয়ানমার নিজেরা আক্রান্ত ভূকম্পনের তাÐবে। তাদের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ২হাজারও অধিক লোক প্রাণ হারান। তাছাড়া তারা গৃহযুদ্ধে লিপ্ত। তাহলে রোহিঙ্গাজনগোষ্ঠীদের কারা ফিরে নেবে? এবং কারা তা নিশ্চয়তা দিতে পারে; অবশ্য এর মধ্যে যতসামান্য বাঙালি মুসলিম ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা যতসামান্য ভাংচুরও চালায়। দৃশ্যমান কিছু জুতো আর মুখের ক্রিমসহ প্রসাধনী নিয়ে যেতে হুড়োহুড়ি করতে থাকে কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর। আর এসব নিয়ে কিবা বলার আছে। আর বলেইবা কি লাভ হবে; নিজেরা তো সমমানের উৎপাদন করতে না পারার এ ব্যর্থতার দায় কে নেবে; এখন বিশ্ববাজার ব্যবস্থা চরম নিমজ্জিত প্রতিযোগিতায়। জবরদখল করে বাজার ব্যবস্থায় কয়দিনবা টিকিয়ে রাখা যাবে। এসবে প্রতিযোগিতা আসতে হলে মনমানসিকতা ও ধ্যানধারণাও পাল্টাতে হবে। তবে চীন তাইওয়ান নিয়ে নড়েচড়ে ওঠে ক্ষাণিকটা। এতে মার্কিনরাও হুমকি দেয়- চীন যদি তাইওয়ান দখল করতে চেষ্টা করে, মার্কিনরাও চীনের ওপর হামলা করবে। তবে চীনের এ তৎপরতা মার্কিনরা আন্তঃমহাদেশীয় ভূ-রাজনীতি নিয়ে পুনরায় ভাবতে হয়। রাশিয়া তাদের আধিপত্য বজায় রাখে কৃষ্ণ সাগরে। মার্কিনিরা পারস্য উপসাগরে তাদের নৌ-চলাচল অক্ষত ও নিশ্চিত রাখতে চায়। ঠিকই, ইসরাইলের নেতানিয়াহুর একচকে গাজা উপত্যকাবাসী চিরতরে বাস্তুচ্যুত হলো। ইসরাইলের নারকীয় এ তান্ডল বিশ্ববাসীও প্রত্যক্ষ করে। দৃষ্টান্ত দেখানোর ভাষাও যেন নেই মানবতাবাদীদের।
লেখক : কবি, গবেষক ও কলামিস্ট