সাধুবাবা শ্রীমৎ তারাচরণ পরমহংসদেবের আবির্ভাব উৎসবে বক্তারা বলেছেন, সত্যনিষ্ঠ ও ব্রহ্মচর্য্যরে মূর্ত বিগ্রহ সাধু তারাচরণ পরমহংসদেব। তিনি এসেছেন পৃথিবীতে সত্য সুন্দর ও মঙ্গল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশীল সমাজ বিনির্মাণের মানব কল্যাণে আমাদের পথ দেখিয়ে গেছেন। রাউজান পশ্চিম গুজরাস্থ শ্রীতারামঠ প্রাঙ্গণে শ্রীশ্রী কৈলাসেশ্বরী কালী মন্দির ও সাধু তারাচরণ সেবাশ্রমের আয়োজনে মহাঋষি মানবপ্রেমী মাতৃসাধক সাধুবাবা শ্রীমৎ তারাচরণ পরমহংসদেবের ১৪৫ তম শুভ আবির্ভাব তিথি ও বাসন্তী পূজা উদ্যাপন উপলক্ষে আট দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান ছিল সাধুবাবার জীবনবেদ আলোচনা, ধর্মসভা, গুণীজন সম্মাননা, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাসন্তী পূজা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠান।
গত ১১ এপ্রিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহতী ধর্মসভায় উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি মৃদুল পারিয়ালের সভাপতিত্বে আশীর্বাদক ও প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামস্থ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী শক্তিনাথানন্দজী মহারাজ। প্রধান ধর্মীয় বক্তা ছিলেন অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী। সংবর্ধেয় অতিথি কৈবল্যধাম বোর্ড অব ট্রাস্টি আশুতোষ মহাজন।
উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নোটন প্রসাদ ঘোষের সঞ্চালনায় মহান অতিথি ছিলেন আশালতা কলেজের অধ্যক্ষ জনার্দ্দন কুমার বনিক, উরকিরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, আইনজীবী দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য, সুজিত সরকার, লায়ন তাপস হোড়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মাখন বণিক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক কাঞ্চন ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক শেখর ঘোষ আপন, সাংবাদিক নেজাম উদ্দীন রানা, সাংবাদিক যীশু সেন। গুণীজন সম্মাননা পেলেন চন্দন বৈদ্য, শান্তিপদ বণিক, নিতাই দে, সুনীল দে, নেপাল কর ও মনোহরি জলদাস (মরণোত্তর)। শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেন দীপন স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি, সতীশ কুঞ্জ স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি, স্বপ্না বনিক স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি। সঞ্চালনায় ছিলেন দীপ্ত দাশ। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মুক্তা ধর। রক্ষাকালী বৈদিক বিদ্যাপীঠকে একশত গীতা প্রদান করেন রাধে রাধে প্রবাসী গ্রæপ। বিজ্ঞপ্তি