নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের শিক্ষিত তরুণদের নেতৃত্বের বিকাশ, সঠিক ক্যারিয়ার গঠন, জীবনদক্ষতার উন্নয়ন এবং সমাজমনস্কতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে আসছে একটি সংগঠনÑইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশ। এই সংগঠনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার একজন চিন্তাশীল ও বাস্তববাদী তরুণ নেতা; যিনি বিশ্বাস করেন, কাগুজে শিক্ষা নয়-মানুষ গড়ার শিক্ষাই জরুরি। তাই তিনি তরুণদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আত্মনিয়োগ করেছেন। বর্তমানের তরুণদের জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন পূর্বদেশ এর সাথে।
পূর্বদেশ : আপনার সংগঠনটি কবে, কী উদ্দেশ্যে গঠিত হয়? তরুণদের কোন কোন দিকের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন?
ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার : প্রেক্ষাপট বলতে গেলে একটু নিজের কথা বলতে হয়। আমার পড়ালেখা যুক্তরাজ্যে। সেখান থেকে বার এট ল শেষ করে দেশে ফেরার পর ২০১৩ সালের দিকে দেশের তরুণদের নিয়ে ভাবনা আসল মনে। একটি সাধারণ উপলব্ধি আমাকে তাড়িত করেছিল যে-আমাদের তরুণরা শিক্ষা পাচ্ছে কিন্তু জীবন গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, নৈতিকতা আর দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর শক্তি পাচ্ছে না। তাদের জন্য কাজ করার লক্ষ্য নিয়েই এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিই। তাই আমাদের সংগঠনের ভিত্তি তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়েÑজীবনদক্ষতা, নেতৃত্ব এবং সামাজিক দায়িত্ব। আমরা চাই, তরুণরা শুধু চাকরি খুঁজবে না-সমস্যা খুঁজে সমাধান করুক, প্রশ্ন করুক এবং নেতৃত্ব দিক। সে জন্য আমরা কিছু লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছি- ১. জাতীয় সংকট, ন্যায্য অধিকার ও গণতন্ত্র চর্চা বিষয়ে তরুণদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা। ২. রাজনৈতিক সচেতনতা এবং গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণে তরুণদের আগ্রহী করে তোলা। ৩. মানবিক সহায়তা, সমাজসেবা এবং মূল্যবোধভিত্তিক নেতৃত্ব চর্চা।
পূর্বদেশ : তার মানে প্রায় এক যুগ ধরে কাজ করছেন, এতটা দীর্ঘ সময় সংগঠনের কার্যক্রম কি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রেখেছেন?
ব্যারিস্টার তারেক : এই প্রশ্নের এক কথায় জবাব হচ্ছে ‘না’, আমরা তা পারিনি। আমার ভেতরে একটি ছোট দীর্ঘশ্বাসও হয়তো শুনতে পেলাম। কারণ, বিদেশে পড়ালেখা শেষ করে এসে আমার মাতৃভূমির কল্যাণে, দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রকে ধারণ করে, তরুণদের সঙ্গে নিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে শুরু করেছিলাম। তরুণদের স্বপ্নজয় করার সহযোগী হতে চেয়েছিলাম এবং তাদের মাধ্যমে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছিলাম। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ধারবাহিকভাবে কাজ করতে পেরেছি। এই সময়ে বহু তরুণদের নতুনভাবে উদ্দীপ্ত করেছি, অনেক গরিব-অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছি কিন্তু ২০১৭ সালে ঢাকায় হাজারো তরুণদের নিয়ে একটি প্রোগ্রাম করার পর তৎকালীন সরকারের নেতিবাচক দৃষ্টিতে পড়ে যাই, এজেন্সির লোকজন গিয়ে আমাকে সরাসরি হুমকি দিয়ে বসে। সে কারণে আর সেভাবে ‘মন খুলে’, প্রকাশ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করতে পারিনি। তবে সেই পাঁচ বছরে লন্ডন, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ২৫০টিরও বেশি প্রোগ্রাম আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছিলাম। এর মধ্যে ছিল তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে লিডারশিপ ট্রেনিং, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা, জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন এবং খাদ্য বিতরণ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি যে, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান আমাদের নতুন বাংলাদেশ এনে দিয়েছে। সে জন্য আমি এই সংগ্রামের সকল নায়ক, নেপথ্য নায়কদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তরুণরা আমাদের নতুন ভোর এনে দিয়েছেন, সেই তারুণ্যের জন্য, দেশের জন্য নতুন উদ্যমে কাজ চালিয়ে যেতে চাই।
পূর্বদেশ : বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ যে ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তা কাটিয়ে উঠতে আপনারা কীভাবে জীবনদক্ষতা গড়ে তোলার কাজ করছেন?
ব্যারিস্টার তারেক : তরুণদের চ্যালেঞ্জ শুধু বেকারত্ব নয়-বরং আত্মবিশ্বাসের অভাব, ভুল সিদ্ধান্ত, এবং সময় ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা। আমরা এসব মোকাবেলায় বিভিন্ন ট্রেনিং ও ওয়ার্কশপ আয়োজন করি, যেমন: ক্রিটিক্যাল থিংকিং ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ডিজিটাল নাগরিকত্ব ও ইথিকস, দলগত কাজ, যোগাযোগ দক্ষতা, মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্ম-পরিচয়ের উপর বিভিন্ন শর্টকোর্স। আমরা তরুণদের শেখাই-তোমার স্বপ্ন যদি বাস্তব না হয়, তবে সেটা শুধু গল্প। বাস্তবায়নের জন্য দরকার দক্ষতা।
পূর্বদেশ : আপনাদের কার্যক্রমে সবচেয়ে সফল কোন প্রকল্প বা উদ্যোগটি মনে হয়, যা তরুণদের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন এনেছে?
ব্যারিস্টার তারেক : আমরা এরই মধ্যে অনেকগুলো প্রকল্প ঢাকা এবং চট্টগ্রামে সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছি। এসব উদ্যোগের কারণে তারুণ্যের মধ্যে যে আগ্রহ-উদ্দীপনা তৈরি হতে দেখেছি সেটি আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে আরও বেশি কাজ করার। বিশেষ করে আমরা যে ‘ইয়ুথ লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ’ করেছি তার ফলাফল যথেষ্ট টেকসই। এটাকে আমি সবচেয়ে সফল একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখি। কারণ, এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী অনেকেই পরবর্তীতে নিজ নিজ এলাকায় শিক্ষার্থী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন কিংবা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিয়েছেন। কেউ কেউ সমাজসেবায়, কেউ ক্যাম্পাস নেতৃত্বে, আবার কেউ রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। পাবলিক স্পিকিং, সময় ব্যবস্থাপনা, সমস্যা সমাধান, সহানুভূতিশীল নেতৃত্ব ইত্যাদি জীবনদক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে অনেক তরুণ নিজের আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও জেলার তরুণদের একত্র করে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পেরেছি। এর মধ্যে অভিজ্ঞদের মেন্টরিং তরুণদের জন্য পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে। আমার বিশ্বাস, যখন একজন তরুণ তার ভেতরের নেতৃত্বের শক্তিকে আবিষ্কার করে, তখন তার নিজের জীবনই বদলে যায়—আর সেখান থেকেই বদল শুরু হয় পুরো সমাজের। এই বিশ্বাস থেকেই ইয়ুথ ভয়েস কাজ করে চলেছে।
পূর্বদেশ : শুধু শিক্ষায় ভালো করাই কি যথেষ্ট? নাকি তরুণদের জন্য নেতৃত্ব, নৈতিকতা ও সমাজচিন্তাও সমান জরুরি?
ব্যারিস্টার তারেক : শিক্ষা জীবনের ভিত্তি, তবে একা যথেষ্ট নয়। বর্তমান যুগে সবচেয়ে দরকার চরিত্র, সাহস ও সহানুভূতির শিক্ষা। আপনি যতই ডিগ্রি অর্জন করুন, যদি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকে, তবে তা কাগুজে জ্ঞান। আমরা বলি—নেতৃত্ব মানে প্রভাব নয়, দায়বদ্ধতা। নৈতিকতা মানে ভয় নয়, আস্থা।
পূর্বদেশ : গ্রামীণ বা প্রান্তিক তরুণদের জন্য আপনার সংগঠনের কী বিশেষ উদ্যোগ আছে? শহর-গ্রামের ব্যবধান কীভাবে কমানো যায় বলে মনে করেন?
ব্যারিস্টার তারেক : আমরা এখনো শহুরে তরুণদের নিয়ে বেশি কাজ করছি, তবে ‘ইয়ুথ ফর ইয়ুথ’ নামে এক প্রকল্পে শহরের তরুণরা নিজেরাই গ্রামে গিয়ে পাঠদান করবেন, কমিউনিটি সার্ভে করে এবং স্থানীয় তরুণদের সঙ্গে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং শেয়ার করবেন ভবিষ্যতের জন্য এমন পরিকল্পনাও রয়েছে। এই বিনিময়ের মাধ্যমেই দুই পক্ষই শেখেÑএকজন শিখবে সুবিধাবঞ্চনার কথা, আরেকজন শিখবে উপলব্ধির গুরুত্ব।
পূর্বদেশ : স্বেচ্ছাসেবার মানসিকতা তরুণদের মধ্যে গড়ে তুলতে কী ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি দরকার বলে আপনি মনে করেন?
ব্যারিস্টার তারেক : আমরা তরুণদের বলিÑতুমি শুধু নিজের জন্য জন্মাওনি, তুমি এই সমাজেরও একজন প্রতিনিধি। স্বেচ্ছাসেবাকে উৎসবের মতো বানিয়ে ফেললে চলবে না। এটিকে জীবনের স্বাভাবিক অংশ বানাতে হবে। আমাদের ট্রেনিং-এ আমরা তরুণদের ‘গিভিং হ্যাবিট’ গড়ে তুলতে উৎসাহ দিইÑপ্রথমে সময়, তারপর শ্রম, তারপর জ্ঞান এবং শেষে হৃদয় দিয়ে দিতে শেখাও। তরুণদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবার মানসিকতা গড়ে তুলতে আমরা দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চাই। আমাদের ভাবনা হলো- ‘আমি’ নয় ‘আমরা’। তরুণদের বোঝাতে চাই, সমাজে একা সফল হওয়া যায় নাÑসবাইকে নিয়েই সফলতা খোঁজা প্রয়োজন। এটার অর্থ তার নিজের সুবিধার বাইরেও ভাবতে শেখানো। সেবা নয়, দায়িত্বের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবা মানে করুণা নয় বরং সমাজের প্রতি নৈতিক দায়িত্ব পালনের একটি উপায়। আমাদের বিশ্বাস, যখন একজন তরুণ নিজের সুবিধা ছাড়িয়ে সমাজের মানুষদের জন্য কিছু করতে শিখে, তখনই তার ভেতরে নেতৃত্ব, দায়িত্ববোধ ও মানবিকতা গড়ে ওঠেÑযা একটি শক্তিশালী জাতি গঠনের ভিত্তি।
পূর্বদেশ : আপনি নিশ্চয় জানেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ৩১ দফা জাতীয় রূপকল্প দিয়েছেন। আপনি কি মনে করেন এই দফাগুলো তরুণদের ভবিষ্যৎ গঠনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে?
ব্যারিস্টার তারেক : চমৎকার প্রশ্ন করেছেন, সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি মন থেকেই চেয়েছিলাম আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন কি-না। কারণ জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা আগামীর বাংলাদেশ পরিচালনায়, সমৃদ্ধ দেশ গঠনে এবং তারুণ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি সুচিন্তিত রূপরেখা। আমি মনে করি, ৩১ দফায় এমন কিছু বিষয় রয়েছেÑযা তরুণদের জন্য পথপ্রদর্শক হতে পারে। যেমন, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি, খেলাধুলা ও সংস্কৃতির উন্নয়নÑএই ধারণাগুলো কেবল উন্নয়নের কথা বলে না বরং তরুণদের শক্তিকে কেন্দ্র করে, ভবিষ্যৎ ভাবনার মূলমন্ত্র। আমরাও যেহেতু তারুণ্যের শক্তিকে জাগিয়ে তোলার কাজ করছি, জনাব তারেক রহমানের রূপরেখাগুলো আমাদের যথেষ্ট অনুপ্রাণিত করেছে, আমরা তার এই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তাভাবনাগুলোর জন্য স্যালুট জানাই।
পূর্বদেশ : ৩১ দফার মধ্যে বিশেষ করে কোন কোন দিক আপনাকে সবচেয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ করে, যা আপনার সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গেও মেলে?
ব্যারিস্টার তারেক : আমি বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছি ৩টি দিক থেকে:
১. লাইফ স্কিল ও টেকনিক্যাল এডুকেশন,
২. তারুণ্যের জন্য ইনোভেশন ফান্ড এবং
৩. বিষয়ভিত্তিক তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তোলা।
এই বিষয়গুলো আমাদের সংগঠনের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে। আমি বিশ্বাস করিÑযে রাজনীতি তরুণকে নেতৃত্বে নিয়ে আসে, সেটাই টেকসই। এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দেশের উন্নতির জন্য সর্বক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। আজকের দিনে সেই টার্মসটি একটি অপরিহার্য বাস্তবতা।
পূর্বদেশ : অনেকে বলেন, তরুণ প্রজন্ম রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়ছে। আপনি কি মনে করেন তারেক রহমানের এই রূপরেখা রাজনৈতিক সচেতনতা ফিরিয়ে আনতে পারবে?
ব্যারিস্টার তারেক : তরুণরা রাজনীতি ঘৃণা করে না, তারা অপরাজনীতি ঘৃণা করে। যখন কেউ স্বচ্ছতা, পরিকল্পনা ও অংশগ্রহণের কথা বলে, তখন তারা সাড়া দেয়। জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফায় তরুণদের জন্য একটি উদ্দেশ্যভিত্তিক অংশগ্রহণের জায়গা তৈরি করা হয়েছেÑযেখানে চিন্তা, সমাধান আর মূল্যবোধ আছে। সেখানেই তরুণেরা নিজেদের জড়িত ভাববেন।
পূর্বদেশ : আপনার নিজের তরুণ বয়সে কি এমন কোনো অনুপ্রেরণা বা ঘটনা ছিল যা আপনাকে এই পথের যাত্রী করেছে? ভবিষ্যতে তরুণদের জন্য আপনি কী স্বপ্ন দেখেন?
ব্যারিস্টার তারেক : আমার অনুপ্রেরণা ছিল ২০০৯ সালে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ, যেখানে একজন সমাজকর্মী বলেছিলেন, ‘তুমি যেদিন বুঝবে, তোমার সমস্যার চেয়ে কারও সমস্যা বড়, সেদিন থেকেই তুমি মানুষ হতে শুরু করবে।’ আমার স্বপ্নÑএমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিটি তরুণ নিজেকে দেশপ্রেমিক, চিন্তাশীল এবং মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। আমরা চাই, তারা শুধু ভবিষ্যতের নেতৃত্ব না করুকÑবর্তমানেরও পরিবর্তন ঘটাক।
পূর্বদেশ : আপনাকে ধন্যবাদ
ব্যারিস্টার তারেক : আপনি এবং পূর্বদেশ পরিবারকেও অশেষ ধন্যবাদ।