তথ্য সংগ্রহে মাঠে থাকবে ১১৯টি ব্যাচে ৩৫৪২ জন

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ২০ জানুয়ারি। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা ও মহানগরের ছয়টি থানায় দুই হাজার ৯১২জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৬৩০জন সুপারভাইজারের সমন্বয়ে গঠিত ১১৯টি ব্যাচ বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবে। আগামী ১৩-১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষেই বিভিন্ন এলাকায় তথ্য সংগ্রহে টিম গঠন করা হবে। পাশাপাশি আগামী ৫ ফেব্রæয়ারি থেকে ভোটার রেজিস্ট্রেশন ও ছবি তোলা শুরু করতে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ কার্যক্রম চলছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা জানান, তথ্য ও সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের তালিকা চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। ১১৯টি ব্যাচে গড়ে ৩০জন করে কর্মকর্তা ভোটারের তথ্য সংগ্রহে বাড়ি বাড়ি যাবে। এরমধ্যে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ পেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কাছ থেকে বায়োডাটা সংগ্রহ করা হচ্ছে। অতীতে ভোটার তালিকা হালনাগাদে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা এবারও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী পূর্বদেশকে বলেন, ‘সারাদেশে ২০জানুয়ারি থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ চলবে। ৫ ফেব্রæয়ারি থেকে নতুন ভোটারদের ছবি তোলা শুরু হবে। যা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় চলবে। ২০০৮ সালের ১জানুয়ারি পর্যন্ত জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের ডাটা সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ চলবে। তথ্য সংগ্রহ শেষে রেজিস্ট্রেশন করতে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ করা হবে।’
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্দেশিত পরিকল্পনা অনুসারেই চট্টগ্রামে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে। ২১টি উপজেলা ও থানা নির্বাচন এলাকায় বর্তমান ভোটার, নিবন্ধনে কত দিন সময় লাগবে, কতটি টিম কাজ করবে, বিশেষ ফরম বাছাইয়ে কত সময় লাগতে পারে, উপজেলা থেকে উপজেলায় গমনের সময় নির্ধারণ করেই এ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ২০২৪ সালের হালনাগাদ শেষে চট্টগ্রামে ৬৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯১৭ ভোটার আছে। এই ভোটারের তিন শতাংশ হারে প্রায় দুই লক্ষ নতুন ভোটার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ১জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের জন্ম এমন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজাররা।
মিরসরাইয়ে ১৭৮জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৩৮জন সুপারভাইজার, সীতাকুন্ডে ১৫৫জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৩০জন সুপারভাইজার, সন্দ্বীপে ১১২জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ২৩জন সুপারভাইজার, ফটিকছড়িতে ২৩০জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৫০জন সুপারভাইজার, হাটহাজারীতে ১৬৩জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৩৩জন সুপারভাইজার, রাউজানে ১৩৭জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৩০জন সুপারভাইজার, রাঙ্গুনিয়ায় ১২৮জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ২৬জন সুপারভাইজার, বোয়ালখালীতে ৮৯জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১৮জন সুপারভাইজার, কর্ণফুলীতে ৫৫জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১১জন সুপারভাইজার, আনোয়ারায় ১১০জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ২২জন সুপারভাইজার, পটিয়ায় ১৬২জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৪০জন সুপারভাইজার, বাঁশখালীতে ১৫৯জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৪০জন সুপারভাইজার, চন্দনাইশে ৯০জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ২২জন সুপারভাইজার, সাতকানিয়ায় ১৫৬জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৪০জন সুপারভাইজার, লোহাগাড়ায় ১০৩জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ২১জন সুপারভাইজার, মহানগরের পাঁচলাইশে ১৫৫জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৩২জন সুপারভাইজার, চান্দগাঁওয়ে ১৪৪জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ২৯জন সুপারভাইজার, কোতোয়ালীতে ১০৭জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ২২জন সুপারভাইজার, ডবলমুরিংয়ে ২০৮ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৪৬জন সুপারভাইজার, পাহাড়তলীতে ১১২জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ২৫জন সুপারভাইজার, বন্দরে ১৫৯জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ৩২জন সুপারভাইজারের সমন্বয়ে ১১৯টি ব্যাচ বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহে দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ছয় মাসের মতো সময় লাগতে পারে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্রæত সময়ের মধ্যেই ভোটার তালিকা হালনাগাদে তৎপর রয়েছে ইসি।