ডেল্টা হেলথ কেয়ার চিটাগংয়ে বর্ষবরণ উৎসব

13

পূর্বদেশ অনলাইন

নতুন বছরে রোগীদের সেবায় আরও বদ্ধপরিকর থাকার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করেছে নগরীর অন্যতম বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ডেল্টা হেলথ কেয়ার চিটাগাংয়ের ডাক্তার, নার্সসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে গতকাল প্রতিষ্ঠানকে সাজানো হয় নতুন রঙে। বেলা ১১ টায় আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। এতে নতুন বছরে রোগীদের প্রতি ভালো ব্যবহার, সেবার মান আরও উন্নত এবং মানসম্পন্ন করার অঙ্গিকার করেন সেখানে কর্মরত সকলে।

এতে অংশ নেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ নানা স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এর আগে সকাল থেকেই ডেল্টা হেলথ কেয়ার চিটাগংকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়। প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে নতুন বছরের নানারকম ব্যানার, পেস্টুন, প্ল্যাকার্ড টাঙানো হয়। সেবাপ্রার্থীদের জানানো হয় বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর শুভেচ্ছা।

গত সোমবার পহেলা বৈশাখ বেলা এগারোটায় ডেলটা হেলথ কেয়ার চিটাগংয়ের তৃতীয় তলায় ডেলটা হেলথ কেয়ার চিটাগংয়ে কর্মরত সকলে মিলিত হন। এসময় একে অপরকে বাংলা ১৪৩২ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নগরবাসীকেও আলাদা ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান তারা। তারা জানান, নতুন বছর পুরোনো সব গ্লানি, দু:খ ঘুছে দিয়ে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক সেই প্রত্যাশাই করি।

বর্ষবরণ প্রধান অতিথি ছিলেন ডেলটা হেলথ কেয়ার চিটাগংয়ের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল আলীম। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. আশরাফুল কবির ভূঁইয়া, পরিচালক (ফার্মেসি ও ক্যান্টিন) ডা. কিউ এম অহিদুল আলম।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ডেল্টা হেলথ কেয়ার চিটাগাং এর পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এস এম ইফতেখারুল ইসলাম, পরিচালক (মেইনটেন্যান্স) ডা. আবুল কালাম, পরিচালক (ল্যাব) ডা. তপন পোদ্দার, শেয়ার হোল্ডার ডা. মনজুরুল কাদের চৌধুরী। এতে সঞ্চালনায় ছিলেন, ডেলটা হেলথ কেয়ার চিটাগংয়ের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. কাজী শামীম আল মামুন।

ডেল্ট হেলথ কেয়ার চিটাগাংয়ের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আব্দুল আলীম বলেন, নতুন বছর মানেই শুরু করা। পুরনো সব দুঃখ কষ্ট ভুলে নতুন বছরের সময়গুলি ভালোভাবে কাটাতে পারি, পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকতে পারি সেই প্রত্যাশা করি। আমরা যেহেতু সেবা খাতে কাজ করি, আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে সঠিক, কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। কাজেই নতুন বছরে আমাদের সেবার মানকে আরো বাড়তে হবে, আরো সমৃদ্ধ করতে হবে। এই চিন্তা-চেতনা যেন সব সময় আমাদের মধ্যে বিরাজ করে।

তিনি বলেন, চিকিৎসা খাতে আমরা যারা কাজ করি, আমাদের যেকোনো ছোট ভুলকে বড় করে প্রচার করা হয়। কিন্তু আমরা ভালো কিছু করলে সেটির সুনাম তেমনভাবে পাইনা। সুতরাং, আমরা সেবার মান বাড়াতে হবে, সেবা দিয়েই ছড়িয়ে দিতে হবে মুগ্ধতা, মমতা।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. আশরাফুল কবির ভূঁইয়া বলেন, আগে এই হাসপাতাল পরিচালনা করতে গিয়ে আমাদের নানা সমস্যায় পড়তে হতো। বিশেষ করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিলাম। সব সময় ফোন করে চাঁদা চাইতো এবং প্রতিষ্ঠানে হামলে পড়তো, চিকিৎসা সেবাকে ব্যাহত করে তুলতো। ৫ আগস্ট এর পর এরকম একটি ফোনও পাইনি। ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশে এটি আমাদের প্রথম বাংলা নববর্ষ। আমি সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। নতুন বছর সবার ভালো কাটুক, আনন্দে কাটুক এই এই প্রত্যাশা করছি। সবাইকে বলব সেবা, সেবা, সেবা। পুরোনো দিনের অভিযোগ, অনুযোগগুলোকে বিশ্লেষণ করে আমাদের সামনে বাড়াতে হবে। কোথাও কোনো সমস্যা থাকলে সেটি তাৎক্ষণিক সমাধান করতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে রোগী ও তার স্বজনদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে, এটি তাদের অধিকার। এ সময় নতুন বছরে মান সেবার মান বৃদ্ধি করতে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেন।

অনুষ্ঠানে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারবৃন্দ, ম্যানেজার (প্রশাসন) কামরুল হাসান, ম্যানেজার (ল্যাব ও মার্কেটিং) সঞ্জয় দেব,মেট্রোন,স্টাফ ইনচার্জ, সুপার ভাইজারসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।