পূর্বদেশ ডেস্ক
নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের ফলাফল পেলে একটা যৌক্তিক সময়ের ভেতরেই তফসিল ঘোষণা করতে পারবেন তারা। গতকাল রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রে বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
গত বছর বিজয় দিবসের দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেছেন। তবে চলতি মাসে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা ডিসেম্বরকে টার্গেট করে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছি।
সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে কমিশনও বলছে, ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন বিধিবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটা হলো ঐকমত্যের প্রশ্ন। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি আইন, সংস্কারের বিষয়ে এর ব্যাপারে ওনারা একমত হবেন। ঐকমত্যে পৌঁছার পরে আমাদের প্রস্তুতিটার জন্য সময় লাগবে।
নির্বাচন কমিশন-ইসির ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই মন্তব্য করেন তিনি বলেন, চাপের কাছে আমরা নতি স্বীকার করব না। ইতোমধ্যে সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) বলেছেন, কোনো চাপ, নির্দেশনা, ইনফ্লুয়েন্স নিয়ে আমাদের কমিশন কাজ করবে না।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ডিসেম্বর সামনে রেখে ভোট করতে গেলে এ বছরের জুলাই-আগস্ট থেকেই নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি থাকতে হবে কমিশনের।
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে ছয়টির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে এবং তা প্রকাশিত হয়েছে।
এরপর ১২ ফেব্রæয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’। দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠকেরও কথা রয়েছে।