নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি পরিচালিত ডায়াবেটিক হাসপাতালে লুটতরাজ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ফাইল গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে গত সোমবার হাসপাতালের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত কমিটির আহŸায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর চিঠি দিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, ‘গত ৫ আগস্ট পরবর্তী হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণভার একটি পক্ষের হাতে চলে যায়। এরপর পর থেকে হাসপাতালের ড্রাইভার শাওন, দারোয়ান হাবিব, রিসিপশনিস্ট রবিউল এর নেতৃত্বে হাসপাতালের হিসাব বিভাগের রক্ষিত আনুমানিক ১ লাখ ২৭ হাজার ও ক্যাশ বিভাগে থাকা আনুমানিক ৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা লুণ্ঠিত হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়। যেহেতু ভল্টের চাবিও বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে না, সেহেতু তারা চাবিও নিয়ে গিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ ২টি ল্যাপটপ, ৩টি মোবাইল সেট ও মানিব্যাগও খোয়া গেছে। পাশাপাশি হাসপাতালের প্রাক্তন কর্মচারী হাসিনা আক্তার এর নির্দেশে শাহাব উদ্দিন ও বোরহানের নেতৃত্বে শাওন, হাবিব ও রবিউল প্রশাসনিক দপ্তরের বিভিন্ন রুমে রুমে গিয়ে গুরুত্বপ‚র্ণ ও গোপনীয় ফাইলসমূহ অফিস সময়ের পরে রাতের বেলায় প্রতিদিন নিয়ে যাচ্ছে- এতে করে হাসপাতালের রেকর্ড সংকটে পতিত হবে। উল্লিখিত ৫/৭ জন ব্যক্তি হাসপাতালে এক বিভীষিকাময় অবস্থা করে রেখেছে। হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাই উন্মুখ হয়ে আছে।’এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে আন্দোলনের নামে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালিয়েছে হাসপাতালে একটি পক্ষ। আমরা প্রাথমিকভাবে ৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকা নগদ টাকার ক্ষতির বিষয়ে জানতে পেরেছি। এছাড়া আসবাবপত্র ও আনুষাঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।