বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন ডাক্তার নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক কাজে জেলা শহর এবং উপজেলাতে ব্যস্ত থাকতে হয়। ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালে আগত রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হতাশাগস্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, থানচি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন আছেন। ডা. ফারজানা ফারহা নামে আরেকজন ডাক্তার ইতিমধ্যে থানছি হাসপাতাল থেকে বদলি হয়ে অন্য জেলায় চলে গেছেন। তিনি আরোও জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫৫ থেকে ৬০ জন রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসে। রবিবার ও বুধবারে বাজার বার হওয়ায় ঐদিন রোগীর সংখ্যা আরো বেড়ে যায়। হাসপাতালের ইনডোরে বর্তমানে ৩জন রোগী ভর্তি আছে বলে তিনি জানান।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো জানান, থানচি হাসপাতালে ১০জন মেডিকেল অফিসার ও সার্জনের পদ আছে যা বর্তমানে শূন্য। এছাড়াও ৪ জন অনুমোদিত কনসালটেন্ট এর পদের বিপরীতে এ যাবত কেউ যোগদান করেনি। তিনি জানান, ১৮জন সিনিয়র নার্সের স্থলে এখন ১৪ জন কর্মরত আছেন। ৪জন মিডওয়াইফ এর মধ্যে কর্মরত আছেন ১জন। ৫জন পরিচ্ছন্নকর্মীর পদ থাকলেও এই পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ৩জন ওয়ার্ড বয় এর বিপরিতে ২জন কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া অফিসের অন্যান্য পদেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লোকবলের শূন্যতা রয়েছে। থানচি হাসপাতালের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ডা. ধীমান দাশ নামে একজন চিকিৎসককে থানচি হাসপাতালে পদায়ন করা হলেও তিনি যোগদান করেননি। এদিকে থানচি উপজেলায় ম্যালেরিয়া ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে ভয়াবহ আকারে। এলাকার জনপ্রতিনিধিগণ জানান, চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণে জরুরি পদক্ষেপ না নিয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নিমজ্জিত থাকবে থানচি উপজেলার ২৯.৭৯০জন মানুষ।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এস এম আসাদুল্লাহ জানান, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।