ট্রেনের দুই শিফট চালুর দাবি মেয়র শাহাদাতের

3

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনের দুটো শিফট কক্সবাজার রুটে চালু করা গেলে মানুষ সহজে কক্সবাজার যেতে পারবে। এটাতে শুধুমাত্র রেলের ইনকাম হবে না, মানুষ সেখানে বিনোদনের জন্য স্থান খুঁজে পাবে এবং সেটাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাবে।
গতকাল শুক্রবার সার্কিট হাউসে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খানের সাথে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম দিনেই আমাদের মেমন হসপিটালকে ডেঙ্গুর ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ডিক্লেয়ার করেছি। সেখানে এন্টিজেন টেস্ট যেটা বাইরে ৪০০-৫০০ টাকা নেয় সেটা বিনামূল্যে আমি চট্টগ্রামবাসীকে দিচ্ছি এবং সেখানে ১০টি বেড আমি রেখেছি যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে পারে। দ্বিতীয় দিনে বিপ্লব উদ্যানে আগের যারা মেয়র ছিল, কাউন্সিলর ছিল তারা যে লুটপাট করেছে, দোকান থেকে প্রায় ১০-১৫ কোটি টাকা তারা নিয়ে নিয়েছে এবং সেখানে আবারো আরেকটি মার্কেট করার জন্য পুরা বিপ্লব উদ্যানকে ভেঙ্গে তারা সেখানে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা করেছে। দ্বিতীয় দিনে গিয়ে আমি সমস্ত স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি আপনারা গেলে দেখতে পারেন। আমি স্পষ্ট বলতে চাই- এখানে কোনো চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না। আর যদি কেউ করতে চায় সেটা আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে রোধ করব এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
বিপ্লব উদ্যানকে নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করতে সরকারের সহায়তা চেয়ে মেয়র বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমরা যখনই একটা সুন্দর কিছু করতে চাই আমাদের উপর বাধা দেয় হাইকোর্ট, আইন ব্যবহার করে। যেটার জন্য আমরা কিছু পারি না। অতএব আজকে আমি একটা সুন্দর পার্ক সেখানে করার জন্য ডিক্লেয়ার করেছি। আমি সেখানে বলছি একটা গ্রীন পার্ক হবে। ওয়াকওয়ে হবে। মানুষ হাঁটবে। কথা বলবে। আড্ডা মারবে। সময় কাটাবে। কিন্তু সেখানে দেখা যাবে হাইকোর্টের একটা অর্ডার আমাকে দিয়ে বসবে এখানে পার্ক করা যাবে না। এই জিনিসগুলো অবশ্যই আপনারা যেহেতু একটা উপরের জায়গায় আছেন আপনারা এগুলো একটু লক্ষ্য রাখবেন যাতে হাইকোর্ট থেকে এ ধরনের অর্ডার যাতে না আসে। আপনারা যদি করেন তাহলে আমরা আরো ভালো কিছু করতে পারি।
ডা. শাহাদাত বলেন, আগ্রাবাদের ঢেবার পাড়ে এটা অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী একটা জায়গা। অন্য সিটি কর্পোরেশনে আমি দেখেছি তারা কিভাবে একটা দিঘীকে চমৎকার ওয়াকওয়ে করেছে। সন্ধ্যাকালীন সেখানে সবাই কথা বলছে, আড্ডা মারছে। মানুষ শ্বাস নেওয়ার জায়গা সেখানে পাচ্ছে। ওই চট্টগ্রামের ঢেবার পাড়ে রেলের জায়গা কিছু লোক সেখানে দখল করে রেখেছে। আমি আপনাকে স্পষ্ট বলতে চাই আমাদের সাথে একসাথে কাজ করে দেখেন যদি একটা দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে সেখানে করা যায়, একটা পার্ক যদি করা যায়। আগ্রাবাদ এলাকার মানুষ কোথাও হাঁটতে পারে না, ঘুরতে পারে না। সেখানে যদি আমরা টাস্কফোর্স করে, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী সবাইকে যদি একসাথে ইনভলভ করে ওখানে যারা দখল করে রেখেছে, দখলদারদের বের করে দিয়ে আমরা একটা দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে সেখানে করতে পারি। ইভেন আজকে পলোগ্রাউন্ডের মাঠ দেখেন এমন একটা অবস্থা। এটাও আপনাদের রেলের। কিন্তু সেখানে সারা বছর ভ্যারাইটি শো, ডান্স এগুলো চলতে থাকে। আমার মনে হয় আমাদের খেলার মাঠ নেই। ছেলেরা খেলতে পারে না। ওই মাঠটা শুধু খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চাই। এখানে ভ্যারাইটি শো, এই যে বিভিন্ন মেলার নামে যেগুলো চলে সেগুলা আসলে মানুষ পছন্দ করে না। যানজট লেগে থাকে সারাক্ষণ।