প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি পরিকল্পনার বিষয়বস্তু নিয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতিসংঘের বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। ইহুদি জামাতা জ্যারেড কুশনারের মস্তিষ্কপ্রসূত কথিত ওই শান্তি পরিকল্পনাকে ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ দাবি করে আসছেন ট্রাম্প। জুনে এই শান্তি পরিকল্পনা উন্মোচনের কথা থাকলেও তা হয়নি। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও এর বিস্তারিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে এর বিষয়বস্তুর একাংশ ফাঁস হয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ইসরায়েল-ঘেঁষা। তবে ওবামা প্রশাসন ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙ্গে জাতিসংঘের ইসরায়েলি বসতিবিরোধী প্রস্তাবে ভেটো না দিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে । নিরাপত্তা পরিষদে অবৈধ বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব পাসের পর ফিলিস্তিন প্রশ্নে ট্রাম্প-ওবামা দ্ব›দ্ব প্রকট হয়। ট্রাম্প তখন টুইটারে লেখেন, ‘২০ জানুয়ারির পর পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।’ কথা অনুযায়ীই ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর না যেতেই ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। চলতি বছরের মে মাসে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেন তিনি। আর এই পুরো সময় ধরেই অব্যাহত থাকে তার কথিত ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি নিয়ে গুঞ্জন’। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই চুক্তির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হয়েছে এখনও। ১৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য এলো যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে।
তবে এদিন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ট্রাম্পের ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তির’ বিষয়ে নতুন করে ইঙ্গিত দিলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি হ্যালে। তিনি বলেন, ‘এটা দীর্ঘমেয়াদী। আরও অনেক বিস্তারিত বিবরণ থাকবে এতে। এই চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটবে।’ হ্যালে দাবি করেন, শান্তি প্রক্রিয়ায় দুই পক্ষেরই অনেক পছন্দের ও অপছন্দের প্রস্তাবনা থাকবে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার সব সুযোগ আছে। এবারের প্রস্তাব পূর্বের চেয়ে ভিন্ন হবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে তারা এবার কি রাজি হবে।’