ট্যারিফ-ওজন স্কেলসহ ১০ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস

2

নির্বাচনে বিজয়ী হলে প্রথমে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের দুঃখ ওজন স্কেল, বন্দর ট্যারিফ, সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্সসহ ব্যবসায়ীদের ন্যূনতম ১০টি সমস্যা সমাধান করবে বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরাম। এসবের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন চার্জ, প্যাকেজ ভ্যাট, বাণিজ্যিক এলাকায় নামে-বেনামে মেলা, অপরিকল্পিত মার্কেট, কাস্টমস ভ্যাটে হয়রানি, বন্দর ও কাস্টমসের গতি, প্রশাসনিক জটিলতাও।
গত সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে করণীয় পদক্ষেপ বিষয়ে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশনের মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান বক্তারা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজার্স ফোরামের সভাপতি আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা এখন অভিভাবকহীন। তবে দুঃখের বিষয় এতোদিন ধরে এই ওজন স্কেল, ট্যারিফ নিয়ে আমাদের মতো কেউ কথা বলছে না। প্রতিবাদ করছে না। আমরা এখন যেভাবে কথা বলছি- আন্দোলন করছি- আশা করি ইউনাইটেড বিজনেস ফোরাম জয়ী হলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের দুঃখ ওজন স্কেলও বন্ধ হবে। কারণ দেশের অন্য কোথাও ওজন স্কেল নেই।
তিনি বলেন, দেশের প্রতি, সমাজের সবার একটি দায়বদ্ধতা থাকে। অনেকে এই দায়বদ্ধতা থেকে এগিয়ে আসে কাজ করার জন্য। অনেকে চুপচাপ বসে থাকে। আমরা সব কাজে এগিয়ে এসেছি। আপনারা আমার বাবাকেও দেখেছেন- ভাইকেও দেখেছেন। গণতান্ত্রিক উপায়ে চট্টগ্রাম চেম্বারকে যদি একটি সঠিক কমিটি আমরা দিতে না পারি তাহলে চেম্বার আগের মতো হয়ে যাবে। পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ। সেজন্য বাইরের পৃথিবীর সাথে যার যোগাযোগ আছে সেরকম একজন প্রেসিডেন্ট হওয়া দরকার। সেজন্য আমরা ব্যবসায়ীরা আলোচনা করে আমিরুল হককে বেছে নিয়েছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি ও বর্তমান ফোরাম সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, দীর্ঘ একযুগ পরে চেম্বার নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে আপনারা ঐক্যবন্ধ হয়েছেন এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি আপনাদেরই মানুষ। আমরা সবসময় আপনাদের সাথে থাকব। ভ্যাট-ওজন স্কেল, সিটি কর্পোরেশন ট্যাক্স থেকে শুরু করে সব সমস্যায়- যেখানে দরকার হয় সেখানে আমিরুল হক সাহেব নেতৃত্ব দিবেন।
তিনি বলেন, এখানে জসিম যে বললেন তিনি নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এখানে শুধু জসিম না ৬ জন নির্বাচিত হয়েছের। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে- এটি আমাদের বিপক্ষ পার্টি মেনে নিতে পারছেন না। যার কারণে আমাদের কোর্টেও দৌড়াতে হচ্ছে। আর আমির হুমায়ুন মাহমুদ আছেন বন্দরের ট্যারিফ কমানো নিয়ে। আমরা কাজ নিয়ে থাকি। আপনারা আমাদের কাজ করার সুযোগ দেন। ১ নভেম্বর সবাই ভোট দিতে আসবেন। আমার বন্ধু আমিরুল হককে অনুরোধ করবো আপনারা জয়ী হলে মেম্বারশীপ ফি একেবারে কমিয়ে আনবেন। যাতে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা সদস্য হতে পারেন।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, এফবিসিসিআই ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ আমিরুল হক।
সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সওকত আলীর সঞ্চালনায় ‘দল যার যার, চেম্বার সবার’- এই স্লোগানে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অর্ডিনারি গ্রুপের মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, আমান উল্লা আল ছগির ছুট্ট, আবু হায়দার চৌধুরী, মো. শফিউল আলম, এএসএম ইসমাইল খান, মো. গোলাম সরওয়ার, আসাদ ইফতেখার, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান ও শহিদুল আলম।
অ্যাসোসিয়েট গ্রুপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ, সরোয়ার আলম খান, মো. জাহিদুল হাসান, মো. নুরুল ইসলাম, মো. সেলিম নুর, মো. মশিউল আলম ও বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি