পূর্বদেশ ডেস্ক
টেকনাফ উপজেলার গহীন পাহাড়ে ‘গোপন বন্দিশালা’ থেকে নারী ও শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে; যাদের সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে সেখানে জড়ো করা হয়েছিল বলে ভাষ্য কোস্ট গার্ডের। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে; যারা মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাহারছড়া এলাকার জুম্মাপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানান কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
আটকরা হলেন- উপজেলার আবুল কালাম ছেলে নূর আলম (৩৬) এবং একই এলাকার প্রয়াত মোহাম্মদ হোছেন ছেলে ফাহিম (২১)। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা সিয়াম-উল-হক বলেন, টেকনাফে মানবপাচারকারী চক্রের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এর আগে আটক পাচারকারী চক্রের সদস্যদের তথ্যে জানা যায়, সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে বেশ কিছু লোকজনকে গহীন পাহাড়ে বন্দি রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব লোকজনকে উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। সোমবার বিকাল থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী জুম্মাপাড়া সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ‘গোপন বন্দিশালা’র সন্ধান পাওয়া যায়।
সেখান থেকে নারী ও শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার এবং পাচারকারী সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয় বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
উদ্ধার হওয়াদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে সিয়াম-উল-হক বলেন, কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপন, উচ্চ বেতনের চাকরি ও অল্প খরচে বিদেশ যাত্রার প্রলোভনের মাধ্যমে তাদের গহীন পাহাড়ে আনা হয়।
পরবর্তীতে তাদের সুবিধাজনক সময় মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উপক‚ল থেকে ট্রলারে করে মালয়েশিয়ায় পাচারের পরিকল্পনা করে চক্রটি। এ ছাড়া পাচারকারীরা তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে।
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি ও আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মানবপাচার রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।











