নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছেন, টেকনাফে হত্যাচেষ্টা মামলায় ‘ইয়াবা গডফাদার’ খ্যাত আব্দুর রহমান বদিকে পাঁচলাইশ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইয়াবাকাÐে বদিকে নিয়ে বিতর্ক উঠলে পরের নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসনে বদির স্ত্রী শাহীন আক্তার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মত সংসদ সদস্য হন। এর আগে এই আসনে নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুর রহমান বদি পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আবদুর রহমান বদি সংসদ সদস্য থাকাকালীন ইয়াবা কারবার নিয়ে সমালোচিত ও বিতর্কিত হন। ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার একাধিক প্রতিবেদনেও তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠে। এসব প্রতিবেদনে মাদক কারবারিদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিলো তাতেও বদির নাম ছিল।
এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় সাজা হলে জেলও খাটেন আবদুর রহমান বদি। পরে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিন পান।
মামলা জটিলতার কারণে একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেননি। তবে, আওয়ামী লীগ তার স্ত্রীকে মনোনয়ন দেয়।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের টেকনাফের ইয়াবা সা¤্রাজ্য দীর্ঘ দিন ধরে বদি ও তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় মাদকের সংশ্লিষ্টতায় বদি ও তার ভাইদের নাম ছিল।
বদির ইয়াবা সিন্ডিকেটেরে সদস্যরা হলেন- তার ভাই মো. আবদুল শুক্কুর, মজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সৎ ভাই আবদুল আমিন ও ফয়সাল রহমান।
২০০২ সালে টেকনাফ পৌরসভার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন বদি। পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন। এরপর হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। আর মিয়ানমার থেকে দেশে ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হয়ে ওঠে টেকনাফ। অভিযোগ আছে বদির পৃষ্ঠপোষকতায় এসব চলত। এমপি বদির ভাই ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ন্ত্রণ করত ইয়াবা পাচারের কাজ।