সোহেল আজিম, পেকুয়া
পেকুয়া থেকে কুতুবদিয়া যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মগনামা লঞ্চঘাট। বর্তমানে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে এই ঘাট ব্যবহারকারীদের মধ্যে সর্বদা দুর্ঘটনার আশঙ্কা বিরাজ করছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কক্সবাজার জেলা পরিষদের অধীনে ২০ বছর আগে মগনামা লঞ্চঘাটের সংস্কার হয়েছিল। এরপর থেকে কেউ সংস্কারে এগিয়ে আসেনি। বর্তমানে এর বেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। রেলিংগুলো ভেঙে যাচ্ছে। মূল গ্রাউন্ডসহ পুরো ঘাটের পলেস্তারা উঠে যাচ্ছে।
স্থানীয় কামাল হোসেন জানান, এই লঞ্চঘাট দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পেকুয়া থেকে কুতুবদিয়া পারাপার করেন। সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করছে এই ঘাট থেকে। কিন্তু সেভাবে এর উন্নয়ন হচ্ছে না। ঘাটের শেষ মাথায় অনেক ফিশিং বোট সাগর থেকে মাছ ধরে এসে নোঙর করে। সেখান থেকে মাছগুলো গাড়িতে করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন খাঁচাভর্তি মাছ উঠানামা করার কারণে জেটির এ নাজুক অবস্থা দেখা দিয়েছে। মগনামা লঞ্চঘাটের ইজারাদার যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, লঞ্চঘাটের রেলিং ভেঙে যাচ্ছে। এমনকি বোট থেকে উঠানামার সিঁড়িও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পুরো ঘাটের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। যেকোন মুহুর্তে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে লঞ্চঘাট সংস্কার করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আসিফ মাহামুদ জানান, মগনামা লঞ্চঘাটটি জেলা পরিষদের সম্পদ। কোন কিছু মেরামত করতে হলে জেলা পরিষদের মাধ্যমে করতে হবে। জেলা পরিষদ আমাদেরকে নির্দেশনা দিলে আমরা সংস্কার করে দেব।
