জুলাই বিপ্লবের সাত শহীদকে নিয়ে লেখা পান্থজন জাহাঙ্গীরের গল্পের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে মনিবার। মোড়ক উন্মোচনে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক ও দৈনিক পূর্বদেশের সহকারি সম্পাদক কমরুদ্দিন আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক মাইন উদ্দিন জাহেদ। সভাপতিত্ব করেন বইটির প্রকাশক বিখ্যাত ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক মিজানুর রহমান শামীম। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছড়াকার শফিকুর রহমান সবুজ, হোসাইন মোস্তফা, শওকত ইয়াকুব, গল্পকার শাহিদ হাসান, শিশু সাহিত্যিক আলী আসকর,সংস্কৃতি কর্মী মো. জাফর উল্লাহ, জুলাই যোদ্ধা নিনা আফরোজ, কবি অভিলাস মাহমুদ, বইটির লেখক পান্থজন জাহাঙ্গীর এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চট্টগ্রামের আহত যোদ্ধারা।
কবি মাঈন জাহেদ বলেন, ২৪ এর ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের শহীদদের নিয়ে লিখিত গল্পের বইটি বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সৃজনশীল কর্ম হিসেবে চির ভ্স্বার হয়ে থাকবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি কমরুদ্দিন আহমদ বলেন ইতিহাসকে মানুষ চাইলে বিকৃত করতে পারে কিন্তু সাহিত্য কোনদিন বিকৃত হয় না তাই জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে লিখিত এই বইটি বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ দলিল হয়ে থাকবে। শিশু সাহিত্যিক মিজানুর রহমান শামীম বলেন, আমার জানামতে ২৪ এর গণ আন্দোলন নিয়ে এই প্রথম সাহিত্যের ছোটগল্পের শাখায় শহীদদের নিয়ে কোন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হলো। সুতরাং জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সাহিত্যের গল্পের শাখায় লিখিত এটি প্রথম বই হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। আমিও সেই ইতিহাসের অংশীদার হতে পেরে নিজেকে গর্বিত বোধ করছি। আমি পাঠকদের বইটি ছুঁয়ে দেখার জন্য আহŸান করব এবং জুলাই স্মৃতিকে অমর করে রাখুক ও বইটি বহুল প্রচার হোক এই বাসনা নিয়ে বইটির মোড়ক মোচন করলাম। বইটির লেখক পান্থজন জাহাঙ্গীর বলেন,কবি সাহিত্যিক লেখকদের কোন দল থাকতে পারে না। তারা সব সময় অত্যাচারিত নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াবে। সুতরাং এত এত কবি সাহিত্যিক থাকার পরেও যারা ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মত এত বড় একটা ঘটনার স্মৃতি-ইতিহাসকে নিয়ে একটি শব্দও লিখল না উচ্চারণ করল না তারা কখনো দেশপ্রেমিক হতে পারে না। কারণ এত বড় আন্দোলন এত এত শহীদ এত আহত জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে তারা একটিবারও কলমের আঁচড় কাটেনি। সব সময় নীরবে দেখেছেন। তারা প্রকৃত লেখক হতে পারেন না। প্রকৃত লেখক সামাজিক দায় কাঁধে নিয়েই লিখবেন। এক্ষেত্রে তারা যেহেতু নীরব থেকেছেন তাই তারাও এক প্রকার ফ্যাসিস্ট। কারণ এখন থেকে নীরবতা ফ্যাসিস্টদের ভাষা। সমাজের মানুষের দায় তাদের কাঁধে থেকে যাবে এই দায়ভার কাঁধে নিয়ে তাদেরকে একদিন মরতে হবে। বিজ্ঞপ্তি