জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি স্কুলে ভর্তিতে কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়েদের পাশাপাশি অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য মোট আসনের ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে।
সরকারি স্কুলে ভর্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি অভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের স্বজনদের জন্য কোটা নির্ধারণ করে আদেশ জারি করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অভ্যুত্থানের জেরে সরকার পরিবর্তনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর বিডিনিউজের
গতকাল রবিবার আদেশটি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আদেশটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোর অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের কাছে পাঠিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জারি করা ওই আদেশে স্বাক্ষর করেছেন সরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিব মোসামৎ রহিমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘সরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে এতদিন বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়েরা ৫ শতাংশ কোটা সুবিধা পেতেন। তবে এখন থেকে তাদের পাশাপাশি অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরাও কোটা সুবিধা পাবেন। এ দুই ক্যাটাগরির জন্য স্কুলের মোট আসনের ৫ শতাংশ সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছিল আদেশে’।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি জারি করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে’।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে এ সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র বা গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই আদেশে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের গেজেট যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।