নিজস্ব প্রতিবেদক
মৎস্য ব্যবসায় জগতের প্রতারক বেলাল উদ্দিন কর্তৃক সাড়ে তিন কোটি টাকার প্রতারণা, প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা ও কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী গোল্ড ফিশ এন্টারপ্রাইজ। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানান গোল্ড ফিশ এন্টারপ্রাইজের মালিক শেফার উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে শেফার উদ্দিন বলেন, মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় অপহরণসহ বিভিন্ন ফৌজদারী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, বেলাল উদ্দিনের মালিকানাধীন ‘এফ.ভি কোহিনুর-২’ নামক ফিশিং ট্রলারটি আমরা বৈধ চুক্তির ভিত্তিতে পরিচালনা করার জন্য ভাড়ায় নিয়েছিলাম। সেই সূত্রে আমাদের মধ্যে জাহাজ মালিক ও ভাড়ায় পরিচালনাকারীর আইনগত সম্পর্ক বিদ্যমান। গত দুই বছরে আমরা জাহাজের পেছনে অগ্রিম ভাড়া, মেরামত খরচ, নাবিকদের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, ডক ভাড়া, জেটি ভাড়া, সার্ভেয়ার, বিভিন্ন সরকারি প্রদেয় কর ও আমাদের উপর বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য লভ্যাংশসহ সাড়ে তিন কোটি টাকা বিনিয়োগ করি। কিন্তু বেলাল উদ্দিন আমাদের সঙ্গে একাধিকবার প্রতারণা করে এবং চুক্তি লঙ্গন করে নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেন। তার দেওয়া কাগজপত্র ভ‚য়া ও জালিয়াতিপূর্ণ প্রমাণিত হয়। এর ভিত্তিতে আগ্রাবাদ মৎস্য অধিদপ্তর ট্রলারের লাইসেন্স বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে। তার পক্ষে কখনোই বৈধভাবে এই জাহাজ মৎস্য আহরণের কাজে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে আমরাও এই জাহাজটি দিয়ে কোনোভাবেই মৎস্য আহরণ করতে সক্ষম হইনি এবং তার জাল জালিয়াতির কারণে আমরা দুই বছর যাবৎ ব্যবসায়িক ক্ষতিগ্রস্ত হই। শেফার উদ্দিন বলেন, বেলাল বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের ছত্রছায়ায় নিরহ ব্যবসায়ী ও মৎস দপ্তরের সরকারি অফিসারদের উপর হয়রানির বন্যায় ভাসিয়ে দেয়। আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ও শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসায়িক সমাধান চাইলেও বেলাল উদ্দিন প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা ও কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমাদের প্রাপ্য অর্থ ফেরত এবং জানমালের নিরাপত্তা পেতে চাই।