পূর্বদেশ ডেস্ক
চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকা থেকে তিন দিন আগে যে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়, তাকে টাকার জন্য পূর্ব পরিচিত ব্যক্তি খুন করে বলে পুলিশের ভাষ্য। নগরীর নন্দনকানন ডিসি হিল থেকে গত শুক্রবার এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। গ্রেপ্তার মেশকাতুর রহমান মেশকাতের (২০) বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘যে বাসা থেকে জুনায়েদ হোসেন জিসানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটি তার বন্ধুদের ভাড়া করা বাসা ছিল। সে বাসায় মেশকাত না থাকলেও সেখানে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ওই বাসায় পানীয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দুর্বল করে শ্বাসরোধ করে জিসানকে খুন করে মেশকাত। খুনের পর থেকে টাকা দাবি পর্যন্ত- সব কাজ সে একাই করেছিল’। খবর বিডিনিউজের
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাজীরপুল এলাকার সাওদাগর কলোনীর একটি তালাবদ্ধ বাসা থেকে বুধবার রাতে জুনায়েদ হোসেন জিসানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জিসান মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ১ এপ্রিল বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
কোরআনে হাফেজ জিসান তিন দিন ধরে বাসায় না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা সাওদাগর কলোনীর বাসাটিতে খোঁজ নিতে যান, বাইরে থেকে তালা লাগানো বাসটির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর কারণে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে বাথরুম থেকে জিসানের লাশ উদ্ধার করে। ওসি সঞ্জয় বলেন, গ্রেপ্তার মেশকাত ভবঘুরে প্রকৃতির যুবক। এক বন্ধুর মাধ্যমে জিসানের সঙ্গে মেশকাতের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে জিসান তার পারিবারিক স্বচ্ছলতাসহ বিভিন্ন বিষয় মেশকাতের সাথে আলাপ করতেন। যার কারণে মেশকাত তার কাছ থেকে টাকা আদায় করার ফন্দি আঁটে। গত ১ এপ্রিল জিসান বাসাটিতে যাবার পর মেশকাত তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো পানীয় খেতে দিয়েছিল। সেটি খাবার পর জিসান দুর্বল হয়ে গেলে তাকে বাথরুমের ভেতর ঢুকিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করে রাত ৯ টার দিকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার এসে জিসানের গলা চেপে ধরে। পরে তার মোবাইল নিয়ে ঘরে তালা দিয়ে চলে যায়’।
ওসি সঞ্জয় জানান, মেশকাত পরে জিসানের নম্বর থেকে তার মাকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। সেই কল রেকর্ডটি ওই বাসার অন্য একজনকে শোনালে তিনি কণ্ঠটিকে মেশকাতের বলে শনাক্ত করেন।
গ্রেপ্তার মেশকাতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তার কাছ থেকে আরও তথ্য জানতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান ওসি সঞ্জয়।