ঢাকা প্রতিনিধি
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আসিফ হাসান সর্বোচ্চ আদালতকে জানালেন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আত্মসাৎ করেননি। গতকাল রোববার সকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানিতে দুদকের আইনজীবী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মামলার নথিপত্র অনুযায়ী দেখা যায় ট্রাস্টের দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে কিন্তু কেউ তা আত্মসাৎ করেনি।
উল্লেখ্য, দুদকের এ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলাতেই ১০ বছরের সাজা ও ২৫ মাস কারাভোগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
এদিকে এ মামলায় আজ লিভ টু আপিলের আদেশের দিন নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে গতকাল উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ তারিখ রাখেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান।
এ সময় আদালতে এ মামলায় খালেদা জিয়ার দেওয়া ১৫০ পৃষ্ঠার জবানবন্দিকে ঐতিহাসিক দলিল উল্লেখ করে কিছু অংশ আপিল বেঞ্চের সামনে পড়ে শোনানো হয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, কোনো অনিয়ম না হলেও কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে প্রথমে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়। পরে খালেদা জিয়া আপিল আবেদন করলে হাইকোর্ট সাজা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে দশ বছর কারাদÐের রায় দেন।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কোনো অর্থ আত্মসাৎ হয়নি। তিনি বলেন, এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্টে অর্থ গেলেও এখানে আত্মসাতের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তবে সুদে আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি। দুদক আইনজীবী মামলায় এজাহার, অভিযোগপত্র ও সাক্ষ্যের অংশ তুলে ধরেন। তিনি মামলার নথিপত্র থেকে খালেদা জিয়া এ মামলার অভিযোগের সাথে সম্পৃক্ত নন এমন উপাদান পেশ করেন। পরে আপিল বিভাগ সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিলের অনুমতি পাবেন কিনা আজ আদেশের দিন ধার্য করেন।