জার্মানি কেন বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের পরিকল্পনা করছে?

1

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন, যদি পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষ স্বেচ্ছায় দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ না দেয়, তাহলে দেশটি বাধ্যতামূলকভাবে সেনা নিয়োগ আবার শুরু করতে পারে।
২০১১ সালে জার্মানি বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগ বাতিল করে।
কিন্তু স¤প্রতি রাশিয়ার ‘হুমকি’ অজুহাতে তা আবার চালু করার কথা দেশটি বিবেচনা করেছে। সংবাদমাধ্যম এন-টিভি থেকে জানা গেছে, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টি এবং চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যাৎসের দল খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটরা তাদের জোট চুক্তিতে তথাকথিত ‘সুইডিশ মডেল’ চালু করতে রাজি হয়েছে। যা বাধ্যতামূলক এবং স্বেচ্ছাসেবী সেনা নিয়োগকে এক করে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিস্টোরিয়াস বুধবার বুন্ডেস্ট্যাগে এক ভাষণে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে স্বেচ্ছাসেবার ওপর নির্ভর করব বলে আমরা সম্মত হয়েছি। প্রাথমিকভাবে স্বেচ্ছাসেবক এবং তরুণদের তাদের দেশের সেবা করার জন্য উৎসাহিত করা হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে না পারলে তা বাধ্যতামূলক করা হবে।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদে কর্মীদের স্তর শক্তিশালী করা হবে, যেন জার্মান সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা এবং জোটের প্রতিরক্ষা দুটির জন্যই টেকসই হয়ে ওঠে। তার মতে, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে সামরিক পরিষেবার জন্য আবেদন ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। জার্মানি ২০৩১ সালের মধ্যে সক্রিয় সেনাসংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে দুই লাখেরও বেশি করার পরিকল্পনা করছে। এর আগে ২০২৩ সালে সেনা নিয়োগ ৭ শতাংশ কমে যায়।