নিজস্ব প্রতিবেদক
স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় প্রায় ৪৩ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন। তবে এ সময় বাবুল গণমাধ্যমকর্মীসহ উপস্থিত কারও সঙ্গে কথা বলেননি। বিকেলে কারা ফটকে গিয়ে দেখা যায়, বাবুল আক্তারের মুক্তির খবরে গণমাধ্যমকর্মীসহ তার আত্মীয়-স্বজনরা ভিড় করেন সেখানে। এছাড়া কর্মজীবনে তার সাথে সুসম্পর্ক ছিল এমন অনেক শুভাকাঙ্খীও ভিড় করেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের জামিন আদেশ এবং আদালতের জামিন পরোয়ানা পাঠানোর পরও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি ৩ দিন ধরে। এ বিষয়ে আমি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু গ্রহণ করেনি। পরে ডাকযোগে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়েছি। সেখানে বাবুল আক্তারকে বেআইনি আটক করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করেছি। একই সাথে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাও বলেছি। কিন্তু উত্তর পাইনি। আইনের ধারা অনুযায়ী, প্রতিটি ঘণ্টা হিসেবে বেআইনিভাবে আটক করে রাখার শাস্তি এক বছরের কারাদন্ড। এছাড়া আদালতের আদেশ অমান্য করে কর্তৃপক্ষ আদালত অবমাননা করছে। আদালতের মুক্তি পরোয়ানা পেয়েও কার হুকুমে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দি করে রেখেছে, তা একমাত্র তারাই জানেন।
এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বাবুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
জামিন পেলেও গত বৃহস্পতিবার বাবুলের জামিন স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন তার শ্বশুর ও মামলার বাদী মোশাররফ হোসেন। শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করা হলেও আদেশের তারিখ পিছিয়ে যায়। বুধবার শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত তার জামিন বহালের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি এলাকায় ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তে বাবুল আক্তার ওই হত্যা মামলায় আসামি হন।