‘জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পাশাপাশি তাদের অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে বলে মতপ্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরের দারুল ফজল মার্কেটস্থ নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের এক সমন্বয় সভায় এই মতপ্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের হৃদয়ের সিদ্ধান্ত। ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে জামায়াত-শিবিরকে যারা এতোদিন রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরসহ জঙ্গী সংগঠনগুলো যেভাবে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে তা একাত্তর সালের চেয়েও ভয়ংকর। তাই তাদেরকে সমূলে উৎপাটন করতে হলে রাজনীতি নিষিদ্ধের পাশাপাশি তাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এবং অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা আফগানিস্তানের মতো তালেবানি কায়দায় বাংলাদেশ দখল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বাংলা হবে আফগান- আমরা হব তালেবান- ঢাকার রাজপথে জঙ্গীদের এরকম প্রকাশ্য স্লোগানও আমরা শুনেছি। তাই এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। বাংলাদেশ কি ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হবে? না-কি জামায়াত-শিবির-জঙ্গীদের মতবাদ দ্বারা পরিচালিত হবে? এসব জঙ্গীরা যেভাবে তালেবানি কায়দায় লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে সেদিন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সংযমী আচরণ না করলে মৃত্যুর হার আরো বাড়তো বলে মতপ্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজনের সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, ন্যাপ কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য গাজী মো. আলমগীর কবির, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, গণআজাদী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও মহানগর আহব্বায়ক মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী, ন্যাপ মহানগর সভাপতি বাপন দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ মজুমদার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি