পূর্বদেশ ডেস্ক
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের শুনানি হবে আগামী ৬ মে। সেদিন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি হবে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নের্তৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেন। ওই দিন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। খবর বিডিনিউজের।
এটিএম আজহারের পক্ষে মঙ্গলবার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদেশের পর শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপিল শুনানির জন্য আজ (মঙ্গলবার) দিন ধার্য ছিল। প্রধান বিচারপতি এক পর্যায়ে বলেছেন, এই মামলার গুরুত্বের বিচারে ও আইনি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের দিক থেকে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হওয়া দরকার।’ ৬ মে আপিলটি দৈনন্দিন কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে রেখে শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাসহ যাদের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় দিয়েছে সেই রায়গুলো নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে।
আমরা আগে বলেছি আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না? তৎকালীন আপিল বিভাগ রায়ে বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্যতার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা বলেছি, এই আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকতে হবে। এজন্য আইনগত এই বিষয় নিষ্পত্তির জন্যই পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আপিল শুনানি হবে।
শিশির মনির বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদন্ড মেনে বিচার হলে আমরা বিশ্বাস করি, আজহারুল ইসলাম ফাঁসির দন্ড থেকে রেহাই পাবেন।’
শুনানির সময় আপিল বিভাগে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
পরে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা অনেক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছি। আগের সরকারের সময়ে যারা ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছেন, তাদের অনেকে এখন মুক্ত হচ্ছেন। অথচ এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো কারান্তরীণ রয়েছেন। আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমাদের প্রশ্ন এতদিনেও কেন ন্যায়বিচার মিলছে না? আমরা হতাশ নই। তবে আমরা বিস্মিত ও ব্যথিত। কারাগারে আটক জামায়াত নেতা আজহারের মুক্তির দাবিতে সম্প্রতি সারাদেশে সমাবেশ, বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেছে তার দল।