পূর্বদেশ ডেস্ক
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, বছরের শুরুতেই আমরা শিশুদের হাতে প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব বই পৌঁছে দিয়েছি। পরিমার্জন এবং বাইরের একটি টেন্ডার বাতিল করার কারণে কয়েকটি ক্লাসে বই দিতে বিলম্ব হচ্ছে। খবর বাংলানিউজের।
ইতোমধ্যে প্রাথমিকের ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানো হচ্ছে, তা আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিংও করছি। জানুয়ারির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।
গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) ময়মনসিংহের দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, শিশুদের সামগ্রিক বিকাশে শুধু বইয়ের ওপর নির্ভর করলে অনেক সময় ফলাফল খারাপ হয়। তাদের সামগ্রিক বিকাশে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যোগ দেওয়া দরকার। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা দরকার।
এ সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পরেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে, তার অনেক কারণ রয়েছে। এরমধ্যে কোভিড, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন হওয়া, বছর শেষে যে পরীক্ষা হতো সেটি চলছিল না, এতে অভিভাবকরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এতে অনেক বাচ্চা প্রাইমারি ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে। এ থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায় সেটা নিয়ে কাজ হচ্ছে।