জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল ও জাতীয় সরকার গঠনের দাবি

1

চকরিয়া প্রতিনিধি

ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল ও জাতীয় সরকার গঠনের দাবিতে চকরিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ১৩ মে বিকাল ৫ টায় চকরিয়া পৌর শহরে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর সদরের জনতা শপিং সেন্টার চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানার রাস্তার মাথায় গিয়ে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে মিলিত হয়।
গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সহ সম্পাদক আবদুল কাদের প্রাইম’র সভাপতিত্বে এবং চকরিয়া উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ এস রায়হানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের কক্সবাজার জেলা সদস্য সচিব মোর্শেদ আলী, চকরিয়া উপজেলার যুগ্ম আহব্বায়ক আরাফাত চৌধুরী, বান্দরবান জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ মালেক, লামা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জয়, চকরিয়া গণঅধিকার পরিষদের সদস্য তৌহিদুল ইসলাম, কক্সবাজার সদর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহব্বায়ক শাহাব উদ্দিন ও চকরিয়া ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের দল গণঅধিকার পরিষদ ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে তারুণ্যের অধিকার আদায়ে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। গত ১৭টি বছর আমরা এক ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা নির্যাতিত ছিলাম। জুলাই আগস্টে এদেশের ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে সেই ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা হঠাতে সক্ষম হয়েছি। তারা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ হওয়ার কথা ছিল জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার বিপ্লবে যাদের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা। যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। কিন্তু এই সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বক্তারা বলেন, বিগত দিনে ভোটারবিহীন নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে ও ড্যামি নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। তারপরও আড়াল থেকে এই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার একটা প্রক্রিয়া এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে তারা বিভিন্ন প্রেসক্রিপশন লিখছে। বাংলাদেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমরা বলতে চাই, যারা গর্ত থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, সাধারণ জনগণ নিয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করা হবে। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।