পূর্বদেশ ডেস্ক
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘের ভোটাভুটিতে রাশিয়ার পক্ষ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর জন্য রাশিয়াকে দায়ী করতে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্র, যা নিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে দেশটির মতবিরোধ আরও স্পষ্ট হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মতবিরোধ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। খবর বিবিসি।
ইউক্রেন ইস্যুতে সোমবার জাতিসংঘে উত্থাপিত তিনটি প্রস্তাব নিয়ে ভোট হয়, যেখানে দু’বারই রাশিয়ার পক্ষ নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এর মধ্যে একটি প্রস্তাব ছিল ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসন বন্ধ এবং অবিলম্বে রুশ সেনাদের প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে। এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র তাকে সমর্থন করে।
আরেকটি প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াকে আগ্রাসী উল্লেখ করে ফ্রান্সের নেতৃত্বে ওই প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।
এদিকে, ইউক্রেনে রুশ অধিকৃত অঞ্চলে থাকা বিরল খনিজ সম্পদের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা দেখছে ক্রেমলিন। সোমবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন।
এমন সময় এই খবর প্রকাশিত হলো যখন সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মি. ম্যাক্রোঁ।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে মার্কিন প্রবেশাধিকারের বিষয়ে কিয়েভ ও ওয়াশিংটন একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কাছাকাছি রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।
আমরা যেন বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে করতে পারি- আজকে এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা, বলেন তিনি।