জাতির চরম দুঃসময়ে নেতৃত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন জিয়া

1

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য এবং উত্তর জেলা বিএনপির আহŸায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, স্বাধীনতার মহান ঘোষক, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনের প্রবক্তা। তিনি গতকাল সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়ায় তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত-ঠিক সেই সংকটের এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। জাতির এ রকম এক মহাসংকটকালে ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে শহীদ জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতার হাল ধরেন। একজন সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও তার জীবনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- দেশের সব সংকটে তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে বারবার অবতীর্ণ হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, অসাধারণ দেশপ্রেমিক, অসম সাহসিকতা, সততা-নিষ্ঠা ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক জিয়াউর রহমানের অবদান দেশের জন্য অসামান্য। শহীদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই আমাদের জাতিসত্তার সঠিক স্বরূপটি ফুটে ওঠে, যা আমাদের ভৌগোলিক জাতিসত্তার সুনির্দিষ্ট পরিচয় দান করে। ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখারও অবিনাশী দর্শন। আমি এই মহান রাষ্ট্রনায়কের জন্মবার্ষিকীতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা; গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, মানবিক সাম্য, ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা এবং মানুষের হারানো মৌলিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানাই।
সমাবেশে উত্তর জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার, মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, কুতুব উদ্দিন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত, হাসান মোহাম্মদ জসিম, সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, মুরাদ চৌধুরী, জহির আজম চৌধুরী, আবু মোহাম্মদ, এজাহার মিয়া, শফিউল আলম চৌধুরী, মুরাদুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, ফজল বারেক, মো. ছিদ্দিক, মেহেরুন নেসা নার্গিস, আবদুল মোতালেব চৌধুরী, মৌলানা জমির উদ্দিন, ছৈয়দ নাসির উদ্দিন, আব্দুস সালাম, নবাব মিয়া চেয়ারম্যান, আয়ুব খান জনি, ফজল হক, সেলিম নুর, শামসুল আলম বাবু, মোহাম্মদ নাছির, বদরুল আলম, মৌলানা জয়নাল আবেদীন, এইচ এম নুরুল হুদা, মনিরুল আলম জনি, নুর উদ্দিন, মোহাম্মদ ওয়াসিম, মহিউদ্দিন চৌধুরী, মিনহাজ উদ্দিন, ইরফানুল হক রায়হান, সাফায়েত হোসেন রাকিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে মুনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি