মুহাম্মদ আয়াজ, কর্ণফুলী
আর মাত্র কয়েক দিন পরে ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বৃষ্টির মধ্যে বেশ জমজমাটভাবে বেচাকেনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মইজ্জ্যারটেক সিডিএ আবাসিক পশুরহাট। এই বাজারে চট্টগ্রামের মানুষ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা এসে কোরবানির পশু ক্রয় করেন। এবারে মইজ্জ্যারটেক পশুরহাটে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে গোলাপি রঙের বিশাল আকৃতির ৭টি মহিষ ও ৩টি উট। যা আগে কখনো এই বাজারে আসে নাই বলে জানিয়েছেন বাজার কর্তৃপক্ষ। বিশেষ আকর্ষণের এই গোলাপি রঙের মহিষ ও উট দেখতে হাটে ভীড় করছে শিশু-কিশোরেরা।
বাজারে এসে ক্রেতা বিক্রেতারা যেন প্রতারিত না হয় সে জন্য বাজার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সবধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাজার কর্তৃপক্ষ। বাজারে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতবারের বাজারের চেয়ে এবার ভিন্ন রকম করে বিশাল আকারের প্যান্ডেল করেছে বাজার কমিটি, যাতে বৃষ্টিতে ক্রেতা বিক্রেতাদের কোন অসুবিধা না হয়। বাজারের কিছুটা পাশে রাখা হয়েছে কুরবানির পশু বহনের যানবাহন। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশেষ আকর্ষণের কুরবানির পশু এনে হাটে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে সর গরম হয়ে উঠেছে বাজারটি। বাজারের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে গোলাপি রঙের বিশাল আকৃতির ৭টি মহিষ ও ৩টি উট। গরুর পাশাপাশি ছাগল ও প্রচুর পরিমাণে মহিষ রয়েছে এই বাজারে।
বিক্রেতারা বলছেন, আমরা প্রত্যেক বছর এই বাজারে গরু নিয়ে আসি। বিক্রি ও ভালো হয়। নিরাপত্তা থাকায় এবারের গরুর পাশাপাশি বিশেষ আকর্ষণ হিসাবের নিয়ে আসলাম মরুর জাহাজ নামে খ্যাত তিনটি উট ও ৭টি গোলাপি রঙের মহিষ।
দর্শনার্থীরা জানান, এবাবের মইজ্জ্যারটেক গরুর বাজারে উট ও গোলাপি রঙের মহিষগুলো এনে বাজারের আরো সৌন্দর্য্য ও আকর্ষণ বেড়েছে। উট এমনে টিভিতে দেখেছি কিন্তু এতো কাছ থেকে দেখে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাজারের ইজারাদার জসিম উদ্দিন জুয়েল পূর্বদেশকে জানান, ‘আমাদের এ মইজ্জ্যারটেক বাজারটি ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার, প্রতিবছর গরু ক্রয় ও বিক্রি করতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা এখানে আসেন, এবারের বাজারের নতুন করে বিশেষ আকর্ষণ মরুর জাহাজ নামে খ্যাত কোটি টাকার উট ও গোলাপি রঙের মহিষ নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এ কোরবানির সকল ধরনের পশু রাখা। যাতে ক্রেতারা এখানে এসে গরু, ছাগল, উটের পাশাপাশি দুম্মা পেতে পারে। এবারে উট বাজারে নিয়ে আসায় বাজারের আকর্ষণ আরও বেড়েছে।