পূর্বদেশ ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার সমালোচনা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। গতকাল শুক্রবার ঢাকায় এক সমাবেশে দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর আপনারা বিদেশিদের কাছে দিতে চান। জনগণ এতে একমত কিনা, আপনারা জিজ্ঞাসা করেননি। এভাবে কাজ করার কিংবা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আপনাদের নেই। আপনাদের উচিত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা’।
দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা লং মার্চের ৫০ বছরপূর্তি’ উপলক্ষে গণসংহতি আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে সরকারকে আলোচনায় বসার আহŸান জানিয়ে সাকি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বলি-আপনাদের আন্দোলন ন্যায্য, অন্যদের আন্দোলন অন্যায্য, এটা ভালো কথা নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসুন। আলোচনায় না বসে কায়দা করে দীর্ঘসূত্রতা করে আপনারা কী পরিচয় দিচ্ছেন নিজেদের?’ খবর বিডিনিউজের
‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন এক সাথে করুন’
গণসংগতির প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন এই তিনটি এক সঙ্গে চলতে হবে। এই তিনটির সঙ্গে কোনো ধরনের বিরোধ জনগণ মানবে না। এজন্য এই তিনটিকে এক সঙ্গে চালিয়ে নিতে আপনারা সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করে বাংলাদেশকে একটা যথাযথ উত্তরণের পথে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পালন করুন। জনগণের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়- এরকম কোনো তৎপরতা চালিয়ে নিজেদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করবেন না’।
ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে ‘ভারতের নদী আগ্রাসন প্রতিরোধ করুন, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হোন’ শীর্ষক এই সমাবেশ হয়।
মওলানা ভাসানীর অবদান স্মরণ করে সাকি বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে কিংবা নদী ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষার আন্দোলনের সুউচ্চ প্রতীক হচ্ছেন মওলানা ভাসানী। আমাদের আবারও ভাসানীর কাছে ফিরতে হবে। কেননা ভারত-রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি যে অন্যায্য পররাষ্ট্রনীতি ও অবস্থান অব্যাহত রাখছে- সেগুলোকে প্রতিহত করতে মওলানা ভাসানীর দেখানো পথ অনুসরণযোগ্য। ভাসানী বলতেন, নদীর পানি কেবল মানুষের জন্য নয়, এতে সকল প্রাণী ও প্রাণের হক জড়িত’।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভ‚ঁইয়া, দীপক কুমার রায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের মনিরুল হুদা বাবন, মাহবুব রতন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আলীফ দেওয়ান, সেলিমুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।