জনতার ঐক্য এগিয়ে নেবে দেশকে : আদিলুর

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

পর্দা উঠল চট্টগ্রাম অমর একুশে বইমেলার। গতকাল শনিবার বিকেলে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। তবে প্রথম দিনে লেখক, পাঠক ও দর্শনার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও এখনো মেলা পুরাপুরি প্রস্তুত না। গতকাল উদ্বোধনের দিনে বিকেলেও স্টল সাজানোর কাজ চলমান। বেশ কিছু স্টল এখনো খালি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে জিমনেসিয়াম মাঠে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহযোগিতায় এবার বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। মেলায় ঢাকা চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রকাশনীকে ১৪০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামের ৭৪টি ঢাকার ৪৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল মেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায়, কিছু কিছু স্টল এখানো প্রস্তুতি শেষ করতে পারেনি। বেশ কিছু স্টল এখনো খালি পড়ে আছে। বিদ্যানন্দ, রূশদাসহ কয়েকটিতে স্টল নির্মাণ কাজ চলমান। কিছু স্টল সাজসজ্জায় ব্যস্ত। বিভিন্ন স্টলে ক্রেতারা পছন্দের বই দেখছেন। কেনার জন্য ভিড় করেছেন।
মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় কুসুমকুমারী স্কুলের শিক্ষার্থী অর্থীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনে তিনটি বই কিনেছি। স্যারের কাছ থেকে একটা বই উপহার পেয়েছি। পছন্দের আরও কয়েকটি বই কিনব, বাছাই করে রেখেছি। প্রতিদিন এসে ঘুরে ঘুরে দেখে বই কেনার মজাই আলাদা। তাই এক দিনে সব বই কিনিনি।’
ইউপিএলের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘আজকে মাত্র মেলা শুরু হয়েছে। সাজসজ্জার কাজ আজকের মধ্যে হয়ে যাবে। এখনো ঢাকা থেকে অনেক নতুন বই আসেনি। এরমধ্যে ক্রেতারা আসছে বই দেখছেন। আশা করছি এবারের মেলা বেশ ভালো হবে।’
সৃজনশীল প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী প্রান্ত জানান, ‘মেলায় দর্শনার্থীরা আসছেন, বই দেখছেন। মাত্র শুরু হয়েছে সপ্তাহ পর জমবে। আমাদের স্টলের সব কাজ শেষ। প্রথম চালানে সবগুলো বই এখনো পৌছায়নি। কাল-পরশু’র মধ্যে সবগুলো বই চলে আসবে। মেলা নিয়ে বেশ আশাবাদী।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি মো. শাহাবউদ্দিন হাসান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ্িহসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এবারের বইমেলার ন্যারিটিভ আলাদা। জুলাইয়ে ছাত্র জনতার অভ্যূত্থানে রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ বদলে দিয়েছে। এ বদলে দেওয়া ন্যারিটিভের উপর দাঁড়িয়ে এ বইমেলা। আপনারা আপনাদের কথাগুলো লিখবেন। সংগ্রামে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের কথাগুলো লিখবেন। শহীদদের কথাও লেখা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এবারের বইমেলা একটি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত যেন এ কথাগুলো মনে থাকে রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজকের এ বাংলাদেশ। ৫ আগস্ট আমাদের যে ঐক্য তৈরি হয়েছে সেটি কোন অবস্থায় কোন শক্তি যে ভাঙতে না পারে। যে কোন দুর্বলতার সুযোগে ফ্যাসিবাদ যেন আবার ফিরে আসতে না পারে। বিভিন্ন আগ্রাসন আক্রমণ থেকে আমরা মুক্ত নই। জনতার ঐক্য গণমানুষের ঐক্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’