বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে ছিল না, এখন তারাই বলছেন, নির্বাচন না হলেই ভালো। তারা একধরনের সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু জনগণ তাদের এ সুযোগ বেশি দিন দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন ছাড়া কাউকে ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা দেবে না।
যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, তাদের প্রতি দেশের মানুষের বার্তা স্পষ্ট। তাদের জনগণ ক্ষমা করবে না, এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মাটিতে তাদের কোনো ইচ্ছাও পূরণ হবে না। জনগণ নির্বাচন ঠেকাতে চাওয়া শক্তিকে ক্ষমা করবে না।
তিনি ১ মে বিকেলে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মদ সড়কে মহান মে দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের শ্রমিক মহা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ইদ্রিস মিয়া।
স¤প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সম্ভাব্য ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের কথাবার্তা প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, যদি দেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকত, তাহলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সংসদে আলোচনা হতো, জনগণের মতামত বিবেচনা করা হতো। অথচ এখন এমন সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছে, কাদের সঙ্গে বসে নিচ্ছে, তা জাতি জানে না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শ্রমিকরা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বাঁচবে। শহীদ জিয়া একজন শ্রমিকের বেশেই খাল খনন করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া শ্রমিকদের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। আমি চট্টগ্রামের একজন সেবক হিসেবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডের শ্রমিকের জন্য ২০ হাজার টিসিবি কার্ডের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিচ্ছি। তারা বয়স্ক ভাতা পাবেন। শ্রমিকরা মৃত্যুবরণ করলে তাদের স্ত্রী বিধবা ভাতা পাবেন। আমি শ্রমিকদের জন্য নাগরিক কার্ডের ব্যবস্থা করবো। দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলে তারা নাগরিক কার্ডের আওতায় ভাতা পাবেন। আমরা শ্রমিকদের পক্ষে আছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, দেশ থেকে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটেছে, এখন নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে। শ্রমিকদের মুক্তি ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ নতুন যাত্রাপথে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা অপরিহার্য।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এম এ হালিম, এম এ আজিজ, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন, শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, শ. ম. জামাল উদ্দিন, এম আর মঞ্জুর, আবদুল মোতালেব চৌধুরী, আবু বক্কর সিদ্দিকী, রফিকুল ইসলাম, এড. ইকবাল হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
