জনগণের সম্মিলিত ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ গণঅভ্যুত্থান

1

চবি প্রতিনিধি

চিন্তক ও লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, অনেকেই অভ্যুত্থানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই গণঅভ্যুত্থান প্রকৃতপক্ষে জনগণের সম্মিলিত ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। সরাসরি বহিঃপ্রকাশ। তবে অভ্যুত্থানের বড় সমস্যা হচ্ছে জনগণকে একত্রিত হতে হবে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘আবুল মনসুর আহমেদের রাষ্ট্রচিন্তা: প্রেক্ষাপট গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রচিন্তা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এ আলোচনা সভা আয়োজিত হয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ এ কথা ঠিক নয়। বইয়ে যেমন লেখা থাকে এই গ্রন্থের লেখক কর্তৃক সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। ঠিক একইভাবে জনগণ কর্তৃক দেশের সকল ক্ষমতা সংরক্ষিত। তবে জনগণ সাময়িকভাবে সরকারকে তা ব্যবহারের সুযোগ দেয়। যখন সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় অথবা বিশ্বাসঘাতকতা করে, জনগণ তাকে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার যেকোনো সময় রাখে। যখন নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রয়োজন হয় তখন অপেক্ষা করে। যখন নির্বাচনই আর না থাকে, তখন যে কোন মুহূর্তে তাকে সরিয়ে দেয়া যায়।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, শেখ হাসিনার আমলে সংবিধানে একটি সংশোধন করা হয়েছে। যে কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চাইবে তার শান্তি সর্বোচ্চ, মৃত্যুদন্ড। সেটা অবশ্যই শেখ হাসিনার প্রাপ্য। তিনি ভারতে থাকুক, তিনি আমেরিকায় থাকুক, তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসুক। নৈতিকভাবে শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ড হয়েছে। তবে এটা কার্যকর করতে পারবে কিনা সেটা অন্য ব্যাপার। কারণ তিনি বলেছেন যে কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তাহলে তিনি কি বৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন?
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রচিন্তা, চবির উপদেষ্টা চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আর রাজির সভাপতিত্বে ও রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য তানভীন কায়েসের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মো. কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফ খান ও আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আহŸায়ক কবি ইমরান মাহফুজ।