জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে

2

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন বলেছেন, জুলাই-আগস্টের বিজয় আপনারা দেখেছেন। তারা ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ঘোষণা দিয়েছিল। ছাত্ররা যম হিসেবে আবিভর্‚ত হলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনা। মাত্র ৫২ মিনিট সময় পেয়েছিলেন, রান্না করা ভাতও খেতে পারেননি। একই ভাবে এই অঞ্চলে রাজা রক্ষণ সেনও অত্যাচারী ছিলেন। বখতিয়ার খিলজী যখন আক্রমণ করে ছিলেন তখন তাকেও খাবার না খেয়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।
এটি একটি শিক্ষণীয় বিষয়। নতুন নতুন রাজনৈতিক দল নতুন নতুন কথা বলছেন। কে কি করবেন তা আপনাদের নিকট থেকে জেনেই রাজনীতির মেরুকরণ করতে হবে। বিগত সময়ে যারা গাড়িতে পতাকা উড়িয়ে চলে গেছেন, তারা কেউ কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করেনি বলে এই পরিণতি হয়েছে। রাজনীতিবিদদের জনগণের পাশে যেতে হবে। কেমন দেশ, কেমন রাজনীতিবিদ চাই তা জানতে হলে জনগণের নিকট আসতে হবে। বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। দিনের ভোট রাতে নেয়া যাবে না।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, উদ্বোধক এডভোকেট নাজিম উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বিগত ১৫ বছরের অপশাসন পর্যালোচনা করে পরবর্তী রাজনীতির পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। তারেক জিয়ার ৩১ দফা রাষ্ট্র পরিচালনায় সহায়ক হিসেবে ভ‚মিকা রাখবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
গত ১০ জানুয়ারি বিকেলে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে দোহাজারীতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে “কেমন রাজনীতি চাই” শীর্ষক আলোচনা সভা এডভোকেট সাদ্দাম হোসেন নীরবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এম.এ হাশেম রাজু, বিশেষ অথিতি ছিলেন সাবেক জেলা ছাত্রদল নেতা আফিল উদ্দীন। আলোচনায় অংশ নেন, নাসির উদ্দীন বাবলু, বিএনপি নেতা আমির হোসেন, মহিউদ্দীন, লোকমান হাকিম, ছাত্রদল নেতা রাজিব উদ্দীনসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। আলোচনা শেষে সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুনকে প্রধান উপদেষ্টা, এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, আফিল উদ্দীনকে উপদেষ্টা, এম.এ হাশেম রাজুকে সভাপতি, এড. সাদ্দাম হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক, জসিম উদ্দীন চৌধুরী মিন্টু, আমির হোসেনকে সহ-সভাপতি করে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া উন্নয়ন ফোরাম প্রস্তাবিত কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে জানানো হয়।