জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল

1

রাউজান প্রতিনিধি

রাউজানের হলদিয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে এলজিইডির আওতাভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ হযরত রুস্তম শাহ (র.) সড়ক কেটে ফেলার ঘটনায় জড়িত মো. জাফর, মো. রফিক, মো. শাকিল ও সুমনের গ্রেপ্তার ও তাদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী। গতকাল রবিবার দুপুর ১ টার দিকে হলদিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারণের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে এলাকার সাধারণ মানুষ ছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে সড়ক কেটে ফেলার প্রতিবাদ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা নুরুল আবছার রেজভী, এসএম কুতুব উদ্দিন, মো. ইউনুস, আবুল কালাম, ইউচুপ কন্ট্রাক্টর, মাওলানা জিলহজ উদ্দিন আত্তারী, সাবেক মেম্বার আহমদ ছফা, মো. সরোয়ার, মো. তৌহিদ, মো. দিদার, মো. নেজাম, মো. মুন্সি মিয়া, মো. দিদার, গিয়াস উদ্দিন, মো. সোহেল, এমদাদুল হক।
এতে বক্তারা বলেন, ‘সরকারিভাবে বিটুমিনের সলিংয়ের জন্য ৮১ লাখ টাকা বরাদ্দ হওয়া হযরত রুস্তম শাহ (র.) সড়কটি গত ১২ নভেম্বর সকালে ৩০-৪০ জন লোক দিয়ে আরফ ফকিরের বাড়ি অংশের ৪০ ফুট সড়কের মাটি কেটে জমিতে ফেলা হয়। এলাকার মো. জাফর, মো. রফিক, মো. শাকিল, সুমন ভাড়াটিয়া লোকজন ও বিভিন্ন এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত নিয়ে এ কাজটি করে জড়িতরা। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিদুয়ানুল ইসলাম খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম এবং থানা পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় সড়ক কেটে জমিতে ফেলা মাটি পুনরায় সড়কে তুলে তা সংস্কার করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়’।
স্থানীয় প্রতিবাদকারীরা বলেন, ‘সড়ক কেটে ফেলার ঘটনার পর যারা প্রতিবাদ করেছে, তাদেরও নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। সড়কের উন্নয়নকাজে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। এলাকার সচেতন নাগরিকদের ব্যাপারে কুৎসা রটানো হচ্ছে। স্থানীয় দানশীল ও সমাজসেবক মো. মুছার নামে নানা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। আমরা এই ঘটনায় দায়ীদের বিচার চাই’।
স্থানীয়রা বলেন, ‘রুস্তম শাহ সড়কটি রুস্তম শাহ নূরানী একাডেমী পর্যন্ত বিস্তৃত ও এলাকাবাসীর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েকমাস আগে সড়কটি প্রশস্ত ও বিটুমিনের কার্পেটিংয়ের জন্য ৮১ লাখ টাকা টেন্ডার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার কর্তন করা মাটি আমি আবার ওই জায়গায় উঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিই। এগুলো তোলাও হয়েছিল।’