ছোট সাজ্জাদ ৭ দিনের রিমান্ডে

10

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারে গুলিবর্ষণ করে দু’জনকে খুনের মামলায় আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এছাড়া নগরী ও জেলায় হত্যাসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগে মোট আটটি মামলায় কারাবন্দি ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রবিবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহীম খলিল পুলিশের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সাতদিনের রিমান্ড নেওয়ার আদেশ দেন। রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য ছোট সাজ্জাদকে মহানগর আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানান, বাকলিয়া থানা পুলিশ ডবল মার্ডারের মামলায় সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত সাতদিন মঞ্জুর করেছেন। এছাড়া আদালত চান্দগাঁও থানা পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫টি ও বায়েজিদ বোস্তামি থানার একটি মামলায় ছোট সাজ্জাদকে শ্যোন অ্যারেস্টের অনুমতি দিয়েছেন।
গত ৩০ মার্চ গভীর রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকা থেকে একাধিক মোটরসাইকেলে থাকা সন্ত্রাসীরা প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। প্রাইভেটকারটি বাকলিয়া এক্সেস রোড দিয়ে প্রবেশ করে নগরীর চকবাজার থানার চন্দনপুরায় পৌঁছানোর পর থেমে যায়। তখন বেপরোয়াভাবে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। এতে দুই যুবক নিহত ও দু’জন আহত হন। নিহতরা হলেন- বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ।
এ ঘটনায় মানিকের মা ফিরোজা বেগম কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাসহ সাতজনকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর পরিকল্পনা অনুসারে আসামিরা গুলি করে মানিকসহ দু’জনকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। তার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। একই বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাজ্জাদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে খোদ পুলিশে তোলপাড় শুরু হয়। গত ২৮ জানুয়ারি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসিকে ন্যাংটো করে পেটানোর হুমকি দেন। এরপর ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে পুলিশ পুরস্কার ঘোষণা করে। গত ১৫ মার্চ তাকে ঢাকার বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।