নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীতে আকবরশাহ থানাধীন ফিরোজশাহ কলোনি এলাকায় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে উঠতি বয়সের তরুণদের হামলার শিকার চিকিৎসক কোরবান আলী মারা গেছেন। গত বুধবার ভোরে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা কোরবান আলীকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে বলে তার ছেলে আলী রেজা জানিয়েছেন। সেদিন ভোর ৬টা ৭ মিনিটে চিকিৎসক ওনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল বিকেলে নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় হামলার শিকার হন দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলী (৬০)। তিনি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বাসা ফিরোজ শাহ কলোনিতে। ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় তার একটি ডেন্টাল ক্লিনিক ছিল বলে পুলিশ জানায়।
মৃত কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানা পূর্বদেশকে বলেন, ‘গত ৮ এপ্রিল থেকে আমার বাবা লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এর দুইদিন পর গত বুধবার ভোর ৬টা ৭ মিনিটে চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জানা যায়, দু’মাস আগে কয়েকজন স্কুলছাত্রকে মারধর করতে দেখে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশ ডেকে আনার ঘটনায় কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজার সঙ্গে বিরোধ হয় এলাকার উঠতি বয়সী কিছু তরুণের। সেই বিরোধের জেরে ৫ এপ্রিল বিকেলে তাকে মারধর করতে দেখে ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে যান কোরবান আলী। এসময় তার ওপর হামলা হয়। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তখন থেকেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়া কোরবান আলীকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে নগরীর ওআর নিজাম রোডে বেসরকারি মেডিকেল সেন্টার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আলী রেজা বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আলী রেজার অভিযোগ, হামলাকারীরা সবাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। আকবর শাহ এলাকার বাসিন্দা গোলাম রসুল নিশান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।