ছেঁড়া জাল বুনে অলস সময় পার জেলেদের

105

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে আরও ২৪ দিন অর্থাৎ ২৩ জুলাই পর্যন্ত। ২০ মে থেকে শুরু হওয়া ৬৫ দিনের এ নিষেধাজ্ঞায় সাগরে যেতে না পেরে অলস সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিক ট্রলারের পাশাপাশি সব ধরনের নৌযানে মাছ ধরা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
উপকূলের জেলেরা জুন থেকে আগস্ট-এই তিন মাস সাগরে মাছ ধরার বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। কারণ এ সময় ইলিশের মৌসুম। তবে প্রজনন মৌসুমের পর জেলেরা বিপুল পরিমাণ মাছ আহরণ করতে পারবে বলে জানাচ্ছেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ও ক্রাস্টাসিয়ান্স (কঠিন আবরণযুক্ত জলজ প্রাণী, কাঁকড়া) এর নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মাছের মজুদ সংরক্ষণ সুষ্ঠু ও সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করার স্বার্থেই এই সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের
এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে স¤প্রতি সীতাকুÐে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধও করেন জেলেরা। চট্টগ্রামের ৩৮টি জেলে পল্লীর নারী, পুরুষরা অবরোধে অংশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এই সময়ে জেলেদের মাছ না ধরার পরিবর্তে প্রণোদনা হিসেবে সরকার থেকে যে চাল পাঠানো হয়েছে, তা অনেকে গ্রহণ করেননি। ফিশারিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরার নৌযানগুলো ঘাটে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করে রাখা হয়েছে। ছেঁড়া জাল বুনে আর গল্পগুজব করে অলস সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা।
তাদের দাবি, তারা মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বোট ও জাল মেরামত করে সাগরে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সামনে ইলিশের ভরা মৌসুম। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলে পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।