ছিনিয়ে নিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, ৫ পুলিশ আহত

2

হাটহাজারী প্রতিনিধি

হাটহাজারীতে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ৫ পুলিশ সদস্যসহ এক মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার কাটিরহাট বাজারস্থ ধলই ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ধলই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘিরে ফেলে। পরে ধলই ইউপি চেয়ারম্যান আবুল মনসুরকে গ্রেপ্তার করে তাদের সাথে থাকা একটি হাইচ গাড়িতে তোলে। এসময় চেয়ারম্যানের সমর্থক স্থানীয় জনগণ তাতে বাধা দেয় এবং চেয়ারম্যানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ এক মহিলা গুরুতর আহত হন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনার পরপর চেয়ারম্যান সমর্থকরা কাটিরহাট বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক কাটিরহাট বাজার এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টার মত অবরোধ করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এর আগে যানজটে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং উক্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু কাওসার মাহমুদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) নাজমুল হোসেনের সাথে গণমাধ্যমকর্মীরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ধলই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করতে গেলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর হামলা করে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি ধলই ইউপি চেয়ারম্যান আবুল মনসুরকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার সমর্থকরা বাধা দেয়। পরে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। তার বিরুদ্ধে হাটহাজারী ও রাউজান থানায় মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ধলই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী তার বিরুদ্ধে হাটহাজারী মডেল থানা ও রাউজান থানায় হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলা রুজু হয়। এসব মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।