ছায়া আর পানি নিয়ে পাশে সাঈদ নোমান

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

নরম দুপুরের রোদটা তখন আর নরম নেই। চৈত্রের গরমে পুড়ছে শহর। স্কুলের বাইরে শত শত অভিভাবক, কারও চোখে চিন্তা, কারও কপালে ঘাম। ভেতরে চলছে সন্তানদের এসএসসি পরীক্ষা। বাইরে অপেক্ষমান হাজারো অভিভাবকেরা তপ্ত রোদে পুড়ে অপেক্ষায় সেই সন্তানের জন্য। তীব্র গরমে যখন তাদের হাসফাস তীব্রতর হচ্ছিল ঠিক তখনই এসেছিল স্বস্তির হাওয়া। ছাউনি, চেয়ার, ঠান্ডা কোমল পানীয় আর এক চিলতে যতœ নিয়ে হাজির তারুণ্যে ভরপুর এক যুবকের দল।
নগরের ১১টি এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে এমনই এক মানবিক দৃশ্যের জন্ম দিলেন নগরের পরিচিত মুখ, শিক্ষানুরাগী ও বিএনপি নেতা সাঈদ আল নোমান। পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিভাবকদের একটু স্বস্তি দিতে পরীক্ষাকেন্দ্রের মাঠে তৈরি করা হয় ‘ছাউনি’। সেইসঙ্গে সেখানে পাতা হয় চেয়ার। ডেকে ডেকে অপেক্ষমান অভিভাবকদের বসানো হয় তাতে। এছাড়াও, তাদের পানিও বিতরণ করা হয়।
সাঈদ আল নোমান যখন নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হাজির হন, তখন অভিভাবকেরা জানতেন না এটা কোনো প্রচারণা নয়, এটা সহমর্মিতার বহিঃপ্রকাশ।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ আল নোমান বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমি দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু করার আছে। আমরা শুধুই মিটিং-মিছিলে সীমাবদ্ধ নয় আমরা গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, সমাজসেবা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা আমরা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমরা ধারাবাহিকভাবে মাসব্যাপী প্রতিটি পরীক্ষায় এই আয়োজন অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, রাজনীতি মানে কেবল শ্লোগান নয়। মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের প্রয়োজনের সময় একটু সহানুভ‚তি দেখানোও রাজনৈতিক চেতনার অংশ।
এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন তীব্র তাপদাহে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের স্বস্তি দিতে বসার জন্য ছাউনি ও চেয়ারের ব্যবস্থা করার এই দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করে। নগরের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়, অংকুর সোসাইটি বালিকা স্কুল, চট্টগ্রাম মডেল স্কুল, ঝাউতলা কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়, সিএমপি উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে এই ব্যবস্থা করেন সাবেক মন্ত্রী সদ্যপ্রয়াত আব্দুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান।।
তিনি বলেন, এই পুরো মাসজুড়ে প্রতিটি পরীক্ষায় এমন মানবিক আয়োজন অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পরীক্ষা দিক, এসময় অপেক্ষমান অভিভাবকরাও যেন কিছুটা স্বস্তি পান।
বেশ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, পরীক্ষা কক্ষে যখন আমাদের সন্তানেরা পরীক্ষা দিতে ব্যস্ত, ঠিক তখন বাইরে অপেক্ষমাণ বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়ানো এমন কিছু উদ্যোগ নিশ্চয়ই রাজনৈতিক মানবতার নতুন এক বার্তা।