এর আগে প্রথম দফায় গত ৩ সেপ্টেম্বর ৫৭ জন বাংলাদেশিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে আরব আমিরাত সরকার। গত জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ যখন বিক্ষোভে উত্তাল, সেসময় তাতে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছিলেন বাংলাদেশিরা। দুবাই, শারজাহ ও আজমানের বিভিন্ন এলাকার সড়কে ২০ জুলাই সন্ধ্যায় বিক্ষোভের সময় ৫৭ বাংলাদেশিকে আটক করে আমিরাতের পুলিশ। দুদিন পর দাঙ্গা, যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং সম্পদহানির মত অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে তাদের সাজা ঘোষণা করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সুবিধা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বরার ঘোষণা দেয় আমিরাত সরকার। খবর বিডিনিউজের
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আগাস্টে বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আটক ও দন্ডিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুক্তির বিষয়ে আরব আমিরাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এরপর তিন ৩ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় ৫৭ জন মুক্তি পান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে ১১৩ জন এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন। আর আগামি সপ্তাহের মধ্যে আরও ৭৫ জন ফিরবেন।