বোয়ালখালী প্রতিনিধি
ছাত্র আন্দোলনে শহীদ বোয়ালখালীর মেধাবী শিক্ষার্থী মো. ওমর বীন নুরুল আবছারের (২৩) নামাজে জানাজায় ঢল নামে শতশত মানুষের।
গতকাল বুধবার (৭ আগস্ট) বাদে আসর বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় নামাজে জানাজা। এতে ইমামমতি করেন ওমরের পিতা প্রবাসী মো. নুরুল আবছার।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইসহাক চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক নুরুন্নবী চৌধুরী, সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান, পৌর বিএনপির সভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, উপজেলা জামায়াতের আমির ডা. খোরশেদ।
বক্তারা বলেন, ওমর তুখোড় মেধাবী একজন শিক্ষার্থী ছিল। সে দেশকে অনেক কিছু দিতে পারত। কিন্তু স্বৈরাচারী আচরণের ফলে আমরা এক অকুতোভয় ভবিষ্যৎ দেশ গড়ার কারিগরকে হারিয়ে ফেললাম। বক্তারা এ নির্মম বর্বর হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেছেন।
নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছেন ওমরকে।
শহীদ ওমর বীন নুরুল আবছার উপজেলার আকুবদন্ডী ২ নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন সওদাগর বাড়ির সৌদি প্রবাসী মো. নুরুল আবছারের ছেলে। সে ঢাকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ট্রেনিং সেন্টারে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থী ওমর গত সোমবার বিকেলে আনন্দ মিছিল করে বাসায় ফিরছিল। এসময় পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ওমর। ওমর রাজধানীর সাভার উত্তরা সেক্টর ১৪/১৮ নাম্বার রোড এলাকায় বন্ধুদের সাথে ভাড়া বাসায় থাকত।
ওমরের চাচাত ভাই ইঞ্জিনিয়ার আবু বক্কর রাহাত জানান, মিছিল থেকে ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরা থানা এলাকায় পুলিশ গুলি করলে সে মারা যায়। গত মঙ্গলবার ভোর ৪টায় লাশবাহী গাড়ি করে ওমরের লাশ বোয়ালখালীর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নিহতের ছোট ভাই আম্মার বীন নুরুল আবছার বলেন, আমার ভাই ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল। পুলিশ গুলি চালিয়ে রক্তাক্ত করল রাজপথ। অমানবিক নির্যাতন আর রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে অবশেষে বিজয়। ভাইটি বিজয় মিছিল করে বাসায় ফিরছিল। এসময় পুলিশ গুলি করে ভাইয়ের ওপর। আমরা এর বিচার চাই।