পূর্বদেশ অনলাইন
ছদাহা সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরের বার্ষিক মিলনমেলা, কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে নগরীর একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি আহমেদ লাল মিয়ার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিব উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে নতুন কার্যকরী কমিটির অভিষেকে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান সমিতির উপদেষ্টা ও ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোরশেদুর রহমান। অভিষেক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছদাহার কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
২০২৪ সালের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করা মোট ১৪ জন শিক্ষার্থীকে এতে সংবর্ধিত করা হয়। এবং শিক্ষার্থীদের অবদানকে সম্মান জানিয়ে তাঁদের জন্য বিশেষ পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হয়। উপস্থিত সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে মতবিনিময় করে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত ও ভবিষ্যত কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন এবং ছদাহা সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, এই মিলনমেলা ছদাহা সমিতির এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং সংগঠনটির ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম শহরে বসবাসরত ছদাহাবাসীদের সংগঠন ছদাহা সমিতির বিগত সময়ের কাজগুলো আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। সবাই এক হয়ে সমাজ থেকে দারিদ্রতা দূরীকরণ, বন্যা দুর্গতদের সহায়তা, কৃতী সন্তানদের সম্মাননা, বাল্যবিবাহ বন্ধ ও মেধাবী ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য যেভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রসংশার দাবীদার। ভবিষ্যতে ছদাহা সমিতির যেকোনো মহৎ উদ্যোগে সকলে পাশে থাকবো। এ আয়োজন যেন অব্যাহত রাখা হয়।
সমিতির উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. ইসহাক, একেএম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. আমীর মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, মাহাবুবুর রহমান, আলী আহমদ চৌধুরী, সুকুমার বৈদ্য, মো. মোরশেদ, কায়সার আনোয়ার চৌধুরী, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সরওয়ার আলম মনু ও মুহাম্মদ ইলিয়াছ। কার্যকরী কমিটির সিনিয়র নেতৃৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, আলহাজ্ব আবুল কালাম চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, মাহবুবুল আলম, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানু, মোহাম্মদ এহসান, মিজানুর রহমান টিপু, ডা. নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মোহাম্মদ আনোয়ার, শাহ আলম ও দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীর আলম, কৃতী শিক্ষার্থী পর্বটি পরিচালনা করেন ডা. নাসির উদ্দিন। সবশেষে র্যাফেল ড্র পরিচালনা করেন মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।