‘চীনের অর্থায়নে হাসপাতাল চাই’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপ

1

মিরসরিয়ান নামক সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে মিরসরাইয়ে ‘চীনের অর্থায়নে হাসপাতাল চাই’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহব্বায়ক সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আলম নিজামী।
নাগরিক সংলাপ উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সঞ্চালনায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের যুগ্মসচিব, সচিব, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উচ্চ পদস্থকর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী, সংগঠক আইনজীবী এতে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, মানুষের মধ্যে রোগ অসুস্থতা, আঘাত, শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ নির্ণয়, চিকিৎসায় উন্নতি বা নিরাময়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নতি বা রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই জরুরি। স্বাস্থ্য খাত নড়বড়ে হলে সবকিছু মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে। বর্তমানে মিরসরাই উপজেলার স্বাস্থ্য সেবাখাত নেই বললেই চলে। মস্তাননগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামে যে হাসপাতালটি রয়েছে তা শুধু নামে মাত্র। এখানে উন্নত চিকিৎসাসেবা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বিন্দুমাত্র নেই। লোক সংখ্যার তুলনায় একমাত্র সরকারি হাসপাতাল অগ্রহণযোগ্য। তারা আরো বলেন, মিরসরাই হচ্ছে চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার। এর উত্তরে ফেনী, দক্ষিণে সীতাকুন্ড উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ফটিকছড়ি পশ্চিমে সন্দ্বীপ চ্যানেল ও সন্দ্বীপ উপজেলা, নোয়াখালীর ভৌগলিকগত কারণে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের খুবই কাছাকাছি হওয়ায় নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা অন্যদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথাপি সাতকানিয়া, চকরিয়া এমনকি কক্সবাজার জেলার সকল মানুষ মিরসরাইয়ে চীনের অর্থায়নে হাসপাতাল নির্মিত হলে এর স্বাস্থ্যসেবা সহজে লাভ করতে পারবেন।
তাছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোনসহ দুইটি অর্থনৈতিক জোন রয়েছে। বৃহত্তম জোনে ১৫ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে। মিরসরাইয়ের লক্ষ লক্ষ অধিবাসীসহ অবস্থানরত সকল মানুষের জন্য চীনের অর্থায়নে নির্মিত হাসপাতাল জরুরি। বাংলাদেশের সব অঞ্চলের চেয়ে মিরসরাইয়ের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। আগামি কয়েক দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, চীন রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রদূতসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি অবগত করে যথাযথ পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্বান্ত নাগরিক সংলাপে গৃহীত হয়। বিজ্ঞপ্তি