চিকিৎসায় প্রয়োজনে ‘অন্য দেশে’ যাবে মানুষ : রিজভী

1

ক্ষমতার পালাবদলের পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার পরিস্থিতিতে ভারত বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম সীমিত করলে তার বিকল্প পথও দেখছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বাংলাদেশি যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে যান, গন্তব্য পরিবর্তন করে তাদের অন্য দেশে যাওয়ার কথা বলছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের
গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকার গুলশানে এক অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, ‘আপনারা (ভারত) এসব বন্ধ করে দিয়ে মনে করেছেন যে, বোধহয় বাংলাদেশের মানুষ এতে অস্থির হয়ে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষ আনন্দিত এখন। আমরা বলি, আমাদের অনেক মেডিকেল কলেজ আছে, অনেক হাসপাতাল আছে। আপনারা কীসের অহংকার করেন? এখন বাংলাদেশের মানুষ প্রয়োজন হলে থাইল্যান্ড যাবে, মালয়েশিয়া যাবে, ইন্দোনেশিয়া কিংবা অন্য দেশে যাবে’।
এ বিএনপি নেতার ভাষ্য, ‘আপনাদের মত ‘হিংসাদ্রোহী’ যারা আমাদের নিয়ে ‘ঘৃণা পোষণ করেন’, সেই দেশে বাংলাদেশের মানুষ যেতে চায় না। কারণ রক্তমূল্যে দিয়ে স্বাধীনতা কেনা এই জাতি। এই জাতিকে আপনি বঞ্চিত করে, ভয় দেখিয়ে নতজানু করবেন, সেই জাতি বাংলাদেশিরা নয়’।
গুলশান-২ নম্বরে একটি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে দেশি পণ্য বিক্রি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলেন রিজভী।
বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের বর্তমান অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ভারত) মনে করেছেন, পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ আর তরকারিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারবে না? আদা, রসুন, সয়াবিন তেল বন্ধ করে দিলে আমরা আর তরকারিতে সেগুলো ব্যবহার করতে পারব না? এটা তো আপনারা (ভারত) ‘দুঃস্বপ্ন’ দেখছেন যে এদের আমরা পানিতে, ভাতে, তরকারিতে বঞ্চিত করব। আপনারা পশু রপ্তানি বিশেষ করে গরু রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ গ্রামের বাড়িতে গরু-ছাগলের খামার তুলে এক কোরবানির ঈদে ১ কোটি ২০ লাখ পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করেছে। প্রতি বছর মাংসের যে প্রয়োজন হয়, সেটার ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ শ্রম প্রিয়। তারা প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ, রসুন, আদা অতিমাত্রায় উৎপাদনে পিছপা হয় না’।
রিজভী বলেন, ‘আপনারা মনে করেন আপনারাই শুধু সব কিছু উৎপাদন করেন? পৃথিবীতে আর কোনো দেশ নাই যাদের কাছ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারব, রসুন তেল আমদানি করতে পারব, পামওয়েল, সয়াবিন তেল আমদানি করতে পারব- সেইসব দেশ কী নেই? আছে। আপনারা মনে করেছেন এগুলো বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা কাহিল হবে, এটা আপনাদের দুঃস্বপ্ন। বরং অবস্থা কাহিল হয়েছে আপনাদের। কলকাতা নিউমার্কেটের কোনো দোকান চলে না, আপনাদের মার্কেটগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম, আপনাদের কলকাতার হোটেলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষজনই কলকাতায় গিয়ে, ভারতে গিয়ে ডলার খরচ করে কেনাকাটা করত, তারা সেখানে চিকিৎসা করত। আপনাদের হাসপাতাল আর চলবে না’।