বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যপণ্য চাল আমদানির ওপর ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রেখে বাকি আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। বন্যা, আন্দোলন ও ক্ষমতার পালাবদলে সরবরাহ ঘাটতিতে চালের দাম ক্রমাগত চড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর এ উদ্যোগ নিল। খবর বিডিনিউজের
গত বৃহস্পতিবার রাতেই আমদানির ওপর থেকে আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার অবশিষ্ট থাকা অগ্রিম আয়করও ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
সেখানে বলা হয়, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ চাল আমদানিতে বিদ্যমান মোট করভার ২৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ২ শতাংশে (অগ্রিম আয়কর) নামিয়ে আনা হয়েছে। তাতে প্রতি কেজি চাল আমদানির খরচ ৯ টাকা ৬০ পয়সা কমবে এবং বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে; সেই সঙ্গে ভোক্তা পর্যায়ে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এবং সাধারণ ক্রেতার জন্য তা সহজলভ্য হবে বলে আশা করছে এনবিআর।
চাল আমদানিতে আগে সব মিলিয়ে শুল্ক-কর ছিল ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ (২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর)।
গত ২০ অক্টোবর চালের ওপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয় ৫ শতাংশ। আর ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়।
এই শুল্ক ছাড়ের ঘোষণায় এনবিআর বলেছিল, ওই সিদ্ধান্তের ফলে চাল আমদানির ব্যয় প্রতি কেজিতে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা কমবে বলে তারা আশা করছে।
কিন্তু প্রথমবারের ছাড়ে আমদানিকারকদের তেমন সাড়া না মেলায় আমদানি পর্যায়ে সব শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)।
ট্যারিফ কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে এনবিআর সবকিছু বিশ্লেষণ করে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে শুল্ক ও কর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল এনবিআর।