চবি প্রতিনিধি
ঘটা করে ঘোষণা দিয়েও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে এখনো এখনো মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনতে পারেনি প্রশাসন। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে জানানো হয়েছিল যে এ বছরের ৩১ মার্চের মধ্যেই এই স্থানান্তর সম্পন্ন করা হবে। সে সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো তেমন কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ফলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে নেমেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসনের প্রতিশ্রæতির বাস্তবতা নিয়ে। গতকাল সোমবার দুপুর বারোটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসনের দেওয়া সময় পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। আমরা বারবার আশ্বাস পাচ্ছি কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। তাই আমরা ফের আন্দোলনে নেমেছি।
এ বিষয়ে চারুকলার শিক্ষার্থী মাশরুর ফাহিম বলেন, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা মিডিয়ার সামনেই ঘটা করে ঘোষণা দিয়েছিলেন চারুকলা ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার। ওনাদের ঘোষিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এটা উনাদের চরম ব্যর্থতা। আমরা বারবার আন্দোলনে নামতে চাই না। কিন্তু বাধ্য হয়ে নামতে হচ্ছে। যদি প্রশাসন তাদের প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন করতে না পারে, তাহলে আমাদের আরো কঠোর হওয়া ছাড়া উপায় দেখছি না।গত ১২ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ঘোষণা দেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা হবে এবং শিক্ষার্থীরা ১ এপ্রিল থেকে নতুন জায়গায় ক্লাস করতে পারবে। ঘোষণা দিয়েও বাস্তবায়ন করতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, আমরা তো পহেলা এপ্রিল থেকে চারুকলার ক্লাস মূল ক্যাম্পাসে করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু অফিসিয়াল কিছু কাজের জন্য একটু দেরি হচ্ছে। তবে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি পাশ হয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা চারুকলাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসতে পারব।